মহেশখালী প্রতিনিধি :: মহেশখালীর বিভিন্ন গ্রামে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে জোর পূর্বক ক্ষুদ্র ঋণের টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী বেসরকারী সংস্থা গুলোর উপর।
মহেশখালীতে রিক, ব্রাক, গ্রামীন ব্যাংক, আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ, প্রত্যাশি সহ প্রায় ১০ টি সংস্থা ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানা যায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাস দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যার দরুন সাধারণ মানুষ নানান সীমাবদ্ধতায় দিনাতিপাত করছে। এই সময় জোর করে কিস্তি আদায়ের বিষয়টি অমানবিক বলেই দেখছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা বা চাপ দেয়া যাবেনা এবং স্বচ্ছল গ্রাহকদের স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে বাঁধা নেই বলে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটি (এমআরএ) একটি সার্কুলার জারি করে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে এই নির্দেশনা মানছেননা মহেশখালীতে কর্মরত ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী বেসরকারী সংস্থা গুলো।
শিহাব উদ্দীন শিহাব, মোঃ করিম, সালাহ উদ্দীন, মোঃ আনোয়ার, তন্ময় বিশ্ব সহ একাধিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- এনজিও গুলো বড়মহেশখালী, ছোট মহেশখালী, হোয়ানক সহ মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় সদস্যদের ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে রিক, ব্রাক, গ্রামীন ব্যাংক, আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ, প্রত্যাশি সহ আরো কয়েকটি সংস্থার কর্মীরা এমনটি করছে বলে জানান তারা। এমনকি ঋণের কিস্তি আদায়ে বার বার গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে হয়রাণী এবং খারাপ আচরণের অভিযোগও করেন তারা।
এই ব্যাপারে বেসরকারী সংস্থা রিকের এরিয়া ম্যানেজার মোঃ কামাল জানান, সরকারী নির্দেশনা মেনে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনাকালীন সময়ে ২ কোটি টাকার অধিক ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া মহেশখালীর কোথাও জোর করে ঋণ গ্রহীতার নিকট থেকে ঋণ আদায় করা হচ্ছেনা। এমন অভিযোগ থাকলে তারা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া আছে। কোথাও জোর করে ক্ষুদ্র ঋণ অাদায়ের অভিযোগ থাকলে তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: