মহেশখালী প্রতিনিধি ::
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করায় সমাগম এড়াতে সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী। নির্দেশনা অমান্য করে ঘুরাঘুরি ও খেলাধুলায় মেতে উঠছে তারা।
সারাদিন খেলার মাঠে কিংবা সাইকেল চালিয়ে সময় পার করছে এসব শিক্ষার্থীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে অহেতুক ঘুরাফেরায় খারাপ সংবাদ বয়ে আনবে এমনটি মনে করেছেন বিশিষ্ট জনরা। আজ বুধবার (১ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার সমগ্র ইউনিয়নের খেলার মাঠে জড়ো হয়ে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার চিত্র দেখা গেছে ।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। সন্তানদের বসায় রাখা অভিভাবকের দায়িত্ব।রাখতে না পারাটা অভিভাবকের ব্যর্থতা। যেভাবেই হোক ঘরে রাখতেই হবে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি খেলার মাঠে ছেলে খেলছে। রাস্তায় অহেতুক সাইকেল চালিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।
এভাবে সময় কাটানোর জন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেনি। তাই অভিভাবকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ আমরা জনসচেতনতা প্রচারনা চালিয়ে মোটামুটি মানুষকে বুঝিয়ে ঘর মুখী করেছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহেশখালী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুচিং মং মার্মা চকরিয়া নিউজকে বলেন, গনসচেতনা সৃষ্টি করে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। তবে কেউ যদি জড়ো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার জামিরুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এক যোগে কাজ করতে হবে। এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নিজের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ মানে ঘুরাঘুরি নয়। তাই সকল শিক্ষাথীকে বলতে চাই নিজের, পরিবারের ও দেশের নিরাপত্তায় সরকারের নির্দেশনা মত কাজ করতে হবে।
পাঠকের মতামত: