ছালাম কাকলী, কালামারছড়া :::
কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ মুক্তি যোদ্ধা মো: শরিফ এর পুত্র আ’লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান হত্যাকারী আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । এমনকি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে সেলিম নামের এক যুবক কে বাজার থেকে তুলে নিয়ে পুলিশের হাতে দিয়েছে । ঐ যুবক চকরিয়া উপজেলার বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও মহেশখালী বাঁশ ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের পুত্র । শুধু তা নয় এসব সন্ত্রাসীরা নুরুল ইসলামের বসত ঘরের দরজা-জানালা খুলে নেয়ার পাশা-পাশি গরু-ছাগল পর্যন্ত নিয়ে গেছে ।এ সন্ত্রাসীর বাহিনী গুধার পাড়া এলাকায় ত্রাস অভ্যাহত রাখলেও পুলিশ কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ।ফলে এলাকার চেয়ারম্যান তারেক শরিফ ও শংকিত হয়ে পড়েছে ।
জানা যায় ,কালামারছড়া ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে । ঐ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী সেলিম চৌধুরী । তিনি আ’লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণি ওসমান হত্যা মামলার আসামী । অপর দিকে হোন্ডা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন নিহত ওসমান চেয়ারম্যানের পুত্র তারেক বিন শরিফ। তারেক শরিফ প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । তারেক শরিফ এর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বি এন পি পার্থী এখলাছ চৌধুরী । সেলিম চৌধুরীর ভরা ডুবি হয় । কারণ আ’লীগ নেতা হত্যা কারীকে নৌকা প্রতিক দেয়ায় আ’লীগ সমর্থিত লোক জন ও সাধারণ লোকজন হোন্ডা প্রতিকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় সেলিম চৌধুরীর নির্দেশে এলাকার সন্ত্রাসীরা গত এক মাস ধরে তারেক শরিফের সমর্থিত লোক জনের বাড়ি ঘরে হামলা অব্যহত রেখেছে । লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘরে মালামাল ,গরু-ছাগল ও মজুদ থাকা বিভিন্ন মালামাল । এমন কি গোদার পাড়ার লোকজন বাড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্রে বস বাস করছে । বাঁশ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের পক্ষে ৭ লাখ টাকা মালামাল লুট করে নিয়েছে । দোকান ও ঘরে দরজা জানালা ও খুলে নিয়েছে । সর্বশেষ সম্প্রতি একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে কালামারছড়া বাজারে গিয়ে মহড়া দিলে লোকজন দিক-বিদিক পালিয়ে যায় । তারা সেলিম নামের এক যুবক কে ধরে মার ধর করার পর কালামারছড়া ফাঁড়ি পুলিশের হাতে সোপর্দ করে । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে উত্তেজনা ।
পাঠকের মতামত: