পরিবর্তন ::এবারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল থেকে কোনো প্রতিনিধির। একেবারে ঢেলে সাজানো হয়েছে এবারের মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিতে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে ফোনে ডাকা হয়েছে ৪৬ জনকে।
কিন্তু এর মধ্যে একজনও নেই শরিক দলগুলো থেকে।
গেলবার জাসদের হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ছিলেন সরকারে।
কিন্তু এবার তারা সকলেই বাদ পড়েছেন। এসব অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ে জায়গা করে নিয়েছে নতুনরা। বিষয়টিকে বড় চমক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে যে সরকার গঠিতে হতে যাচ্ছে সেই মন্ত্রিসভায় আপাতত আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ নেই। তবে রোববার সচিবালয়ে কে কে মন্ত্রী হিসেবে ডাক পেয়েছেন তার নামের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, শরিকরা মন্ত্রিসভায় আসবেন কিনা এটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তবে এটা চলমান প্রক্রিয়া। পরেও বিভিন্ন সময় মন্ত্রিপরিষদ রিফর্ম হতে পারে।
এসময় নতুন মন্ত্রীদের শপথ সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন।
তার দেওয়া তালিকা থেকে দেখা যায়, ২৫ মন্ত্রণালয়ের ১৮টিতেই পরিবর্তন এসেছে। বিদায়ী সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন।
তবে এই মুহূর্তে শরিকদের বাদ পড়ার বিষয়ে কেউ কেউ বলছেন, পরে যোগ হতে পারেন এসব শরিক দলের প্রতিনিধিরা। কারণ এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আদৌ কারা বিরোধী দলের ভূমিকার থাকবে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ফলে এ বিষয়টি চুড়ান্ত হওয়ার পর অন্য শরিকদের মন্ত্রিসভায় যোগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঠকের মতামত: