পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ৭৩চেইন বেঁড়িবাধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সংস্কার কাজ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘুর্ণিণঝড় রোয়ানুর আঘাতে মগনামা ইউনিয়নের ৯৬টি পয়েন্টে ৭৩চেইন বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেগুলো হল শরতঘোনা অংশে ৫পয়েন্টে ৭চেইন, পুরাতন বহদ্দার পাড়া অংশে ৬পয়েন্টে ১ চেইন, পশ্চিম কূল অংশে ৩পয়েন্টে চেইন, চেপ্টা খালী অংশে ১পয়েন্টে ৩চেইন, লম্বা খালী থেকে ডলইন্যা পাড়া অংশে ১৩পয়েন্টে ৮চেইন, ডলইন্যা পাড়া থেকে কাকপাড়া পর্যন্ত ৪ চেইন বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বেঁডিবাধে এসব ক্ষতিগ্রস্থ অংশ দিয়ে জোয়ার-ভাটা অব্যাহত থাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। লবন মাঠ ও চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমান দাড়ায় কয়েক শত কোটি টাকা। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাত হানার পর প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হওয়াতে জনর্দূভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয় এসব এলাকায়। তাই, জনর্দূভোগের কথা চিন্তা ক্ষতিগ্রস্থ মানুুষদের সাথে নিয়ে বেডিবাঁধ সংস্কারের দূঃসাহসিক উদ্যোগ নেন মগনামা ইউপি’র চেয়ারম্যান নিজেই। বিভিন্ন এলাকা সচেতনা মিটিং করেন তিনি। এতে এগিয়ে আসেন এলাকাবাসীরা। চিংড়ি ঘের মালিক, জমিদার শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিরা বাড়িয়ে দেন সহযোগীতার হাত। এ সংস্কার কাজে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯০লক্ষ টাকা।
সোমবার(১৩জুন) সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ৭অংশে বিলিন হওয়া বেড়িঁবাধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ১৩টি অত্যাধুনিক স্কেলেভেটরের সমন্বয়ে চলছে এক মহা কর্মযজ্ঞ। চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে ফেরিযোগে আনা হয় এসব স্কেলেভেটর। তিন শিফটে তিনজন চালক প্রতিটি স্কেলেভেটর চালাচ্ছেন। এতে করে, রাত দিন ২৪ঘন্টায় এক মিনিটও থেমে নেই সংস্কার কাজ।
মগনামা ইউপি’র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, মগনামাবাসীকে সমুদ্রের জোয়ারের পানি থেকে বাচানোর জন্য নিজস্ব উদ্যোগে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমার ব্যক্তিগত তহবিল এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় বর্তমানে সংস্কার এগিয়ে চলছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ সংস্কার কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
###############
পেকুয়া বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
ইমরান হোসাইন, পেকুয়া.
পেকুয়া বাজারে রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা, ওজনে কারচুপি, ফুটপাত দখল, অবৈধ গাড়ি পকিংসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুর রশীদ খানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া থানা এসআই ওয়াহিদুজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স।
এসময় পেকুয়া বাজারের ৪জন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুর রশীদ খান বলেন, রমজান মাস জুড়ে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
পাঠকের মতামত: