ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ভোটারদের সরব উপস্থিতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভাসহ চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে । চলবে আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দুই পৌরসভার ২৮টি ও ১৪ ইউপি’র ১৪০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়। কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

মহেশখালীর হোয়ানক রশিদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখায় যায়, ভোটদানে ইচ্ছুক বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ভীড় করেছেন। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মহেশখালী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১৪৩৫ জনের ভোট কাস্ট করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ৩ হাজার ৫ জন। ৮টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

একই চিত্র চোখে পড়ে হোয়ানক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও।
প্রিসাইডিং অফিসার পরিতোষ দাশ জানিয়েছেন, সকাল ১০ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় সাতশ ভোট কাস্ট হয়েছে এই কেন্দ্রে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৪০টি কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় রবিবার বিকেলে।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, মহেশখালী পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৮৪ এবং চকরিয়া পৌরসভায় ৪৮ হাজার ৭২৪ জন। মহেশখালীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৫৯টি এবং চকরিয়া পৌরসভায় ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৩৯টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। দুই ধাপে ভোটারদের শনাক্ত করা হচ্ছে। ভোট দানের সময় স্ব স্ব ভোটার তার নিজের ছবি ইভিএম মেশিনে দেখতে পাচ্ছে। পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ২৩৪জন। সেখানে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫১ হাজার ১২ জন। ৪ উপজেলার ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে ৭৮০টি স্থায়ী ও ১১৩টি অস্থায়ী ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস. এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকাল ৮টা থেকে জেলার ১৪ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার কৌশল মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভোট কাজে জড়িত, এমন প্রায়ই দুই হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যেকোন ধরনের সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতে এই জেলার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়, সেটি মাথায় রেখেও পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ২ পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রত্যেক কেন্দ্রে পোষাকধারী পুলিশের পাশপাশি সাদা পোষাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।’ এদিকে, কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ও টেকনাফের ৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে। মহেশখালীতে ৩টি ও পেকুয়ায় ১টিতে ভোট গ্রহণ চলছে। কুতুবদিয়া ও টেকনাফে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষণীয়। দু’পৌরসভাতেও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম মহানগর থেকে আগত বিপুল সংখ্যক পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনূর রশীদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: