নিজস্ব প্রতিবেদক :: চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার একঘন্টার মধ্যে তড়িগড়ি করে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউল আলম। নিয়োগ কমিটি নিয়মনীতি অনুসরণ না করে অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েন স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ পরীক্ষার একঘন্টা পূর্বে প্রশ্নপত্র দুইজন প্রার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় যথাযথভাবে উত্তর দিতে পারেনি, অথচ ফলাফল সিটে প্রথম দেখানো হয় অপর প্রার্থী নুরুল হুদাকে। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে নিয়োগ দিতে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। এরপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধান শিক্ষক পদে ৭ প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দেন। এরইমধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পাঁচসদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ কমিটিও গঠন করা হয়। গত ১২ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দানের জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষক জানান, একজন পছন্দের শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছে। আগেই প্রশ্নপত্র গুলো নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌছানো হয়েছে। যেভাবে প্রশ্নপত্র তৈরীর কথা সেভাবে করেনি তারা।
তিনি আরও বলেন, যাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, ওনিতো মৌখিক পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এরপরও কিভাবে প্রথম হলেন? মূলত মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এক সভাপতি বলেন, নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে বৈধতা দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অনিয়ম করে কৌশলে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একমাস আগে পছন্দের লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। এক শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে সাজানো পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। স্বচ্চতার জন্য লটারীর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরী করতে হয়। তড়িগড়ি করে প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবী জানান তারা।
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া নুরুল হুদা বলেন, আমি যথাযথভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি। সেখানে প্রথম হয়েছি। কাউকে টাকা দিয়ে প্রথম হয়নি।
এদিকে ভেওলা মানিক চর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউল আলম বলেন, নিয়মনীতি মেনে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোন পছন্দের প্রার্থী নেই। নিয়োগ পরীক্ষায় যিনি প্রথম হয়েছেন তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: