আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আকবর বলী ঘাটের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন যাত্রীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য ঘাটে নেই কোন স্থায়ী সুযোগ সুবিধা, শুধুমাত্র বাঁশ-কাঠের তৈরি সরু জেটির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এসব জেটির কাঠ কিংবা বাঁশ কোনটিই ঠিকঠাক ভাবে থাকেনা। যেকারণে নতুন নতুন বিড়ম্বনার দৃশ্য অহরহ দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী ঘাটের বেহাল দশার মধ্যে যাত্রী দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ আজম সড়ক। এ সড়কের সংযুক্ত উত্তর ধূরুং ইউনিয়নে আকবর বলী জেটিঘাট। দ্বীপের ৫টি জেটিঘাট থাকলেও মালামাল উঠানামা করার মতো নেই কোন ঘাট। বিগত ২০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল পরিত্যক্ত অর্ধনির্মিত জেটিঘাটটি। অপরিকল্পিত জেটি নির্মাণ কাজ করার ফলে চলমান কাজের মাঝপথে বাতিল করতে হয় কাজটি। এ পরিত্যক্ত জেটিটির বিকল্প হিসেবে কাঠের তৈরী সরু জেটি দিয়ে মানুষ উঠা-নামা করতেও সমস্যায় পড়তে হয়। ভাটার সময় এই জেটি দিয়ে চলাচল করা অনেকটা দুরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন রোগী আনা নেওয়া করতে মরাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীদের জন্য জেটিঘাটে নেই কোন সুযোগ সুবিধা, শুধুমাত্র বাঁশ-কাঠের তৈরি সরু জেটির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এসব জেটির কাঠ কিংবা বাঁশ কোনটিই ঠিকঠাক ভাবে থাকেনা। যেকারণে নতুন নতুন বিড়ম্বনার দৃশ্য অহরহ দেখা যাচ্ছে। তবে রাত হতেই এই চিত্র আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এছাড়া নারী যাত্রীদেরকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেটি ঘাটটির কারণে পুরো উপজেলা এখন অন্ধকার। তাই অতিশীঘ্রই পরিত্যক্ত জেটিটি ভেঙ্গে, নতুন জেটি নিমার্ণের দাবী স্থানীয়দের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়া চৌধুরী জানান, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নেয়ার পর মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে টি আর প্রজেক্ট থেকে কাঠের জেটি তৈরী করলে যাত্রীদের মুটামুটি পারাপারের কিছুটা সুযোগ হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর সংস্কার করে চলছে। তবে দ্বীপবাসীর স্বার্থে অতিদ্রুত জেটিঘাট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি টিম গত শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী ঘাট পরিদর্শন করেছেন। খুব শীঘ্রই আকবর বলী ঘাটের পরিত্যক্ত অর্ধ নির্মিত জেটিটি ভেঙ্গে নতুন জেটিঘাট নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: