আধুনিক মানুষ কত রকম ব্যথাতেই না ভোগেন! পেটব্যথা, বুকব্যথা, মাথাব্যথা থেকে শুরু করে আরো কত রকম ব্যথায় মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেন। এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ নানা রকম ব্যথানাশকও ব্যবহার করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে যে এসব ব্যথা থেকে মুক্তি সম্ভব তা হয়তো অনেকেই জানেন না। নিচে তেমনই কয়েকটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক নিয়ে আলোচনা করা হলো :
আঙ্গুর: আঙ্গুরের রসে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর উপাদান আছে। রোজ এক কাপ করে খেতে পারলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
আনারস: এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলেইন আছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশিতে টান ধরা এবং প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে ইনফ্লমেটরি ডিজিজ আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমাতে ও মেদ ঝরাতে বা পেট-ফাঁপা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
রসুন: ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে এটি ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসেজ করলে আরাম লাগে। রসুন থেঁতো করে লবণ মিশিয়ে লাগালে দাঁতের ব্যথা কমে যায়।
লবঙ্গ: রসুনের মতো লবঙ্গও দাঁতের ব্যথা কমায়। গোটা লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যায়।
আদা: রোজ একটু করে আদা চিবিয়ে খেতে পারলে শুধু আর্থ্রাইটিস নয়, সব ধরনের ব্যথা থেকেই মুক্তি মিলবে।
হলুদ: এর মধ্যে ‘কারকিউমিন’ নামে বিশেষ উপাদান আছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস, পোড়া বা আঘাতজনিত ব্যথা কমাতে বহুকাল ধরেই হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে।
চেরি: এই ফলের ‘অ্যানথোসায়ানিন’ উপাদান গাঁটের ব্যথা কমায়।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এটি খেলে শরীরে অ্যালকালাইন তৈরি হয়, যা বুক জ্বালা কমায়। এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে অম্বল, বুক-জ্বালা সবই কমবে।
ওটস: নিয়মিত ওটস খেতে পারলে তলপেটের ব্যথা কমে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদানই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ব্লুবেরি: পেপটিক আলসার, হজমের সমস্যা বা ব্লাডারে ইনফেকশন হলে এই ফল খাওয়া ভালো। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
ক্র্যানবেরি: ব্লুবেরির মতোই এটিও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, আলসার কমায়। পেটে ব্যথা হলে তাই ক্র্যানবেরির রস খেতেই পারেন। তবে সবসময় এটি টাকটা খাওয়া ভালো।
পুদিনা: দাঁত, গাঁট, মাথা আর পেশির ব্যথা কমাতে পুদিনার রস অনেকেই খেয়ে থাকেন। ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা বা পেট-ফাঁপা কমাতে ব্যবহার করা যায় এটি।
মাছের তেল :এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা, পিঠ, স্নায়ু ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায়।
সূর্যালোক: ভিটামিন-ডি এর মাত্রা কমে গেলে শরীরে খুব ব্যথা হয়। সেই ব্যথা কমাতে পারে সূর্যের আলো। কারণ এত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা ঘাটতি মিটিয়ে ব্যথা কমায়।
– See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2016/02/11/126488#sthash.OugHKco7.dpuf
পাঠকের মতামত: