কক্সবাজার প্রতিনিধি :
মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার-শুক্রবার হওয়া বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গা শিবিরের বেশিরভাগ জায়গায় জমেছে কাদা পানি। এর উপর দিয়ে চলাচল করছে রোহিঙ্গারা। হালকা বৃষ্টিতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটলেও বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।
জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ১৮ টি রোহিঙ্গা শিবিরের বেশীরভাগ জায়গায় জমে আছে বৃষ্টির পানি। কখনো ভারী আবার কখনো হালকা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকায় আছে লাখো রোহিঙ্গা। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি। রোহিঙ্গা ব্লকগুলোর মাঝিদের সাথে নিয়ে গঠন করা হয়েছে টহল দল। যারা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করবে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের মধুরছড়া ডি-ব্লকের মাঝি আবুল হাসেম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে রোহিঙ্গার চলাচলে বিঘœ ঘটছে। সবার মাঝে পাহাড় ধসের আশংকা কাজ করছে। অনেকের মাঝে ভয়ে ভীত। এমন অবস্থায় প্রশাসনের নির্দেশে আমার ব্লকের সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানিয়েছি।
বালুখালীর সি-ব্লকের মাঝি মো. আব্দুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, সকাল থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কাচা রাস্তা হওয়ায় রোহিঙ্গাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি তীব্র খাবার পানির সংকট রয়েছে।
এদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মাঝি দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, বৃষ্টির কারণে ভয়ে আছে রোহিঙ্গারা। কখন কি হয় বলা যাচ্ছে না। বৃষ্টি আসলে যেনো একটা ভয় কাজ করছে সবার মাঝে।
লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় রোহিঙ্গারা রান্না করতে পারছে না। পাশাপাশি পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে বৃষ্টি-দমকা হাওয়া বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ঝুপড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রোহিঙ্গাদের।
তুমব্রু সীমান্তে বসবাসরত রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ জানান, গত রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি দমকা-হাওয়া রয়েছে। দমকা হাওয়ায় উড়ে গেছে কয়েকটি রোহিঙ্গা ঝুপড়ি। পরে তাদের পাশের আরেকটি বাসায় রাখা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, সকাল থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোন ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এতে শংকিত হওয়ার কিছু নেই আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান মুঠোফোনে জানান, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আমাদের সার্বক্ষণিক নজর রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে রোহিঙ্গাদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
প্রকাশ:
২০১৮-০৫-১৯ ০৯:৩৪:০৪
আপডেট:২০১৮-০৫-১৯ ০৯:৩৪:০৪
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
পাঠকের মতামত: