অনলাইন ডেস্ক ::
২০১৪ সালের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপিকে বাইরে রাখতে সরকার ‘কু-রাজনীতি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কখনই গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন হতে দেবে না। মানুষকে অবমূল্যায়ন করবেন না। সব কিছু যে সহ্য করে নেবে, সব কিছু যে মেনে নেবে-এটা মনে করবেন না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগ করেন তিনি।
কল্যাণ পার্টির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জোট শরিক দলটির সাধারণ সম্পাদক নিখোঁজ এম এম আমিনুর রহমানের সন্ধানও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূঁইয়া পিন্টুর পরিচালনায় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, জাগপার সভাপতি রেহানা প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ, কাহির মাহমুদ, আজাদ মাহবুব, শাহজাদা আলম, মো. ইলিয়াস হোসেন, শাহিদুর রহমান তামান্না, নজরুল ইসলাম, বনি আমিন বক্তব্য রাখেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে সম্পদ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই খবর পাওয়ার পর তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন, সব জায়গায়। তারা জিজ্ঞাসা করেছেন রাষ্ট্রদূতদের, এর কোনো ভিত্তি আছে কি-না? কোনো ভিত্তি নেই, কোনো সত্যতা নেই। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এই কু-রাজনীতি করে কী আনতে চান? নির্বাচন আবারও করতে চান ২০১৪ সালের মতোই। ২০ দলীয় জোট, বিএনপিকে দূরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, তাই তো শুরু করেছেন।
কল্যাণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান নিখোঁজ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা পার্টির সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত গুম হয়ে যেতে হলো, কোনো খবর নেই আজ ৯৭ দিন। একজন সাবেক রাষ্ট্রদূতকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলমসহ অনেক মানুষকে গুম করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোথায় যাবেন? এভাবে ভিন্নমত যে পোষণ করবে, তাদের মতের বাইরে যে যাবে, এভাবে তাদের তারা (আওয়ামী লীগ) গুম করে দেবে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সরকার তার সকল ক্ষমতা নিয়ে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটকে নিষ্ফ্ক্রিয়, নিস্তেজ, স্তব্ধ করার জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক ও অষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা যদি সাবধান না থাকি, তাদের যে কোনো রকম দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপের মধ্যে পড়ে আমরা বিপথগামী হতে পারি।
জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, নাকে খত দিয়ে আসতে হবে (বিএনপিকে)। এটা কি তার বক্তব্য, না ভারতের দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে পাওয়া নির্দেশনা? আওয়ামী লীগ কি নিজেদের শক্তিতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, না ভারতীয়রা কলকাঠি নাড়ছেন?
পাঠকের মতামত: