সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বিএনপি—জামায়াত অভিশপ্ত রাজনৈতিক সংগঠন। ৭৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যে সকল হত্যাকান্ড বিএনপি—জামায়াত চালিয়েছে তার গজব থেকে তারা কখনো মুক্তি পাবে না। ১৫ই আগস্টের খুনীরা ছিলেন আত্মস্বীকৃত খুনী। তারা তাদের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত আছে বলে বার বার উল্লেখ করেছেন। মহামান্য হাইকোর্ট জিয়াকে ঠাণ্ডা মাথার খুনী বলে উল্লেখ করেছে। তার পুত্র তারেক রহমান বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খুনের লালসায় মত্ত থাকেন। তার নেতৃত্বে ২১শে আগস্টে ভয়াল গ্রেনেড হামলা হয়।
তিনি বলেন, তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়াকে কোনোভাবে লন্ডনে নিয়ে যেতে পারলে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে, তার দায় সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করবে।
রোববার (১৪ আগস্ট) বিকালে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী নওফেল বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে মানুষ খুনের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় দখল করে সামরিক—বেসামরিক বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধারাও তার হত্যা তালিকা থেকে রক্ষা পায়নি। সেই জিয়ার দল বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে যুগে যুগে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছেন। তাদের বিচার যাতে কোন দিন না হয় সেজন্য ইন্ডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী সভায় ঠাঁই দিয়ে জাতিকে লজ্জিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার যখন উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ^ দরবারে উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন, তখন এই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অকার্যকর দেশ প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না। এই জন্য দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। যে কোনোভাবেই দেশবেরিাধীদের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষ অরাজকতা, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র করে কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে দেবে না।
জেলা আওয়ামী লীগ গৃহীত মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৪ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ—প্রচার সম্পাদক এম.এ মনজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমদ সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, রেজাউল করিম, কক্সবাজার সদর—রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক বকুল, এডভোকেট রঞ্জিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কবেরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস বাঙ্গালী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তাপস রক্ষিত, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুল, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারূফ আদনান, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক শাহেদুল আলম রানা। পবিত্র কোরআন তেওয়াত করেন ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম সরকার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম কুতুবী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, খালেদ মোহাম্মদ, ড. নুরুল আবছার, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এডভোকেট মমতাজ আহমদ, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, এটিএম জিয়া উদ্দিন, এডভোকেট সুলতানুল আলম, আমিনুর রশীদ দুলাল, বদরুল হাসান মিলকী, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান, মাস্টার আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ তৈয়ব।
পাঠকের মতামত: