নিজস্ব প্রতিবেদক :: শহরের টেকপাড়ার জনতা সড়কে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে গৃহপরিচারিকা। গত ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পিএমখালীর ধাউনখালীর ৮নং ওয়ার্ডের আলী হোছনের মেয়ে কুলসুমা আক্তার লিলি (১৯) বিগত দেড় বছর যাবৎ টেকপাড়ার জনতা সড়কস্থ প্রবাসী আমান উল্লাহর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে আসছে। তাকে একজন পরিবারের সদস্যের মতো আদর করতো প্রবাসী আমান উল্লাহর স্ত্রী তছলিমা আক্তার।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে তছলিমা আক্তার ও তার ছেলে-মেয়েদের ওই গৃহপরিচারিকা কুলসুমা মাল্টা ফ্রুটস জুস বানিয়ে খাওয়ায়। যা খেয়ে শারীরিক অসুস্থ বোধ করে বাড়ির সকলে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে যায়।
এ সুযোগে গৃহপরিচারিকা কুলসুমা তিনভরি ওজনের একটি স্বর্ণের বিদেশী চেইন, দেড় ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বিদেশী রিং (আংটি), দশ আনা ওজনের একজোড়া বিদেশী স্বর্ণের বিদেশী কানের দুল ও নগদ ৪২০০ টাকাসহ মোট ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সকালে বাড়ির মালিক প্রবাসী আমান উল্লাহর স্ত্রী তছলিমা আক্তার ঘুম থেকে উঠে দেখে বাড়ির প্রধান দরজা খোলা। আলমারিতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নেই। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ভোর ৬ টা ৫৬ মিনিটের সময় গৃহপরিচারিকা ওই কুলসুমা একটি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় কুলসুমা আক্তার লিলি বাসটার্মিনাল লারপাড়া এলাকার শহীদ উল্লাহ (৩৮) ও লিলির পিতা আলী হোছনকে অভিযুক্ত করেন সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তছলিমা আক্তারের ভাই মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল অভিযোগে জানান, ওই গৃহপরিচারিকা আমার বোন ও ভাগ্নেভাগ্নি সবাইকে জুসে বেহুঁশ হওয়ার কেমিক্যাল মিক্স করে খাওয়ায়। তারপর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে নিরাপদে সটকে পড়ে। এছাড়া কুলসুমার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাসটার্মিলাস্থ লার পাড়ার শহীদ উল্লাহর গোপন সম্পর্ক ছিল। শহীদ উল্লাহর প্ররোচনায় এ ঘটনা ঘটায় গৃহপরিচারিকা কুলসুমা। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাঠকের মতামত: