বৈধ অনুমোদন ছাড়াই বান্দরবানে চলতি মৌসুমে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। কেবল লামা উপজেলাতেই চলকি বছর ইটভাটা স্থাপিত হয়েছে ৫২টি। বেঙ্গের ছাতার মতো যত্রতত্রে এসব ইটভাটা গড়ে উঠায় দ্রুত পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। গত বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বন ও পরিবেশ সংর ণ কমিটির এক সভায় খোদ জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এ তথ্য দিয়েছেন। সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় একটি ইটভাটারও অনুমোদন নেই। হাইকোটের একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এতোদিন ধরে ইটভাটা স্থাপন করে আসছিলো মালিকরা। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর রিট আবেদনের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এ কমিটি ইটভাটা স্থাপনের ব্যাপারে জেলা কমিটিকে সুপারিশ করবে। তারা আরো জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাধীন সীমান্ত লাগোয়া ফাইতং ই্উনিয়নে গত বছর ১৮টি ইটভাটা থাকলেও চলতি বছরে আরো ৬টি ইট নতুন করে নির্মাণ বর্তমানে ২৩টি ইটভাটা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সভায় আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, রিজার্ভ এলাকা, স্কুল সংলগ্ন এলাকা, বাজার এলাকা ও ফসলী জমি ইত্যাদি বিষয়কে কঠোর ভাবে দেখার জন্য নির্দেশ আছে। অনুসন্ধান কমিটি এসব বিষয় মাথায় রেখেই কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ইটভাটা স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, পরিবেশকে সুর িত রেখেই আমাদের ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। বীর বাহাদুর বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এসব কাজ বাস্তবায়নে ইটের প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে ইটের যোগান দিতে না পারলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে ইটভাটা স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.কাজী কামাল, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফ, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক মো.জমির উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু ও সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা বক্তব্য দেন। সভায় বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ইটভাটার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: