বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে ব্যাংক কর্মকর্তা রোমাল্ডো অগার্ডো সিনেটরদের জানান, রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখায় টাকা হস্তান্তরের সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছিলেন রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো।
অগার্ডো আরও বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাগে করে দেগুইতোর গাড়িতে যে ২০ মিলিয়ন পেসো তোলা হয়েছিল সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা বলে তার ধারণা।
তবে অগার্ডোর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে দেগুইতো বলেন, তিনি তার বক্তব্যের সময় এ বিষয়টি খোলাসা করবেন। মায়া সান্তোস দেগুইতোর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ফিলিপাইনের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।
সিনেটর ভিসেন্তে সোতোর প্রশ্নের জবাবে অগার্ডো বলেন, জ্যেষ্ঠ কাস্টমার রিলেশনস অফিসার অ্যাঞ্জেলা তোরেস তার সঙ্গে ছিলেন। ওই সময়ে দেগুইতো জুপিটার ব্যাংকের একটি কক্ষে ছিলেন, তাকে সে সময় খুব ভীত সন্ত্রস্ত দেখাচ্ছিল।
তিনি বলেন, “দেগুইতো তখন তাদের বলেছিলেন, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, না হয় আমি বা আমার বাবা খুন হব। অগার্ডো বলেন, কারা তাকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে সে বিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করিনি।”
এদিকে দেগুইতোর সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশটির সিনেট কমিটি। বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হয়। রিজাল ব্যাংকিং করপোরেশনের শাখা ব্যবস্থাপক দেগুইতো তথ্য দেবেন বলে জানানোর পর এ বৈঠক হয়। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে বিষয়টি জড়িত বলে বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
তবে সিনেটরদের ওই বৈঠকে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। -ওয়েবসাইট।
পাঠকের মতামত: