বিশেষ সংবাদদাতা ::;
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে কাস্টিং ৭৯ ভোটের শতভাগ পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার মোহাম্মদিয়া লাইব্রেরীর স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাওলানা ওমর ফারুক। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রামু শরীফ লাইব্রেরীর মালিক জামাল হোসেন নিজের ভোটটি দিতেও ভোটকেন্দ্রে যান নি। ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেননি।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন চকরিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরীর হোসাইনুজ্জামান। তার প্রতিদ্বন্দ্বি কক্সবাজার রহমানিয়া লাইব্রেরীর এম এ নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৭ ভোট।
কক্সবাজার বিদ্যাসাগর লাইব্রেরীর মো. এখলাছুর রহমান ৬১ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজার নোমান লাইব্রেরীর মাওলানা মো. নোমান পেয়েছেন ১৮ ভোট।
অতিরিক্ত সম্পাদক পদে বুক বাজারের নুরুল আমিন ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী চকরিয়া বইঘরের আব্দুল গফুর ২৭ ভোট পেয়েছেন।
শুক্রবার (৫ মে) শহরের বড়বাজারস্থ কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন কার্যালয়ে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এরপর যথারীতি ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন। মোট ৮১ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৭৯টি।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল করিম। সদস্য ছিলেন- মাস্টার শের আলী ও মাস্টার আবু মুসা। এর আগে সহ-সভাপতি পদে ৪ জন, যুগ্ম-সম্পাদক ৪ জন ও সদস্য পদে ৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন সুষ্ঠ করতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার একদল পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলেন। পর্যবেক্ষণে ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীরা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযেগিতা করায় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নির্বাচন কমিশন। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ এখলাছুর রহমান ও অতিরিক্ত সম্পাদক নুরুল আমিন। তারা আমানত দারীতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: