মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :: পার্ক কতৃপক্ষের যোগসাজসে সরকার ঘোষিত সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক উন্মুক্ত রেখে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বন্ধের দিন সাফারী পার্ক খোলা রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা।
অপরদিকে পার্কের অভ্যন্তরে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বন্ধের দিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নিয়ম থাকলেও ওইদিন পার্ক খোলা থাকায় হাজার হাজার দর্শনার্থী নোংরা পরিবেশে পার্ক পরিভ্রমন করেছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়) আদেশ ও নিয়মনীতি আনুযায়ী (পশু পাখীর বিশ্রামের এবং পার্ক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার দিন) সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার আজ বন্ধের দিন (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক খোলা রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সাফারী পার্ক খোলা রেখে ইজারাদার বাবুল সিকদার (রিজভী এন্টার প্রাইজ) পার্ক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের মাধ্যমে সরকারী আদেশ অমান্য করে পার্ক খোলা রাখে।
ওইদিন পার্ক পরিভ্রমনে আসা প্রায় ১০/১২ হাজার দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা টিকেটেরস্থলে ৭০ টাকা থেকে ১০০টাকা করে টিকেট বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ওই টিকিট বিক্রির একটি টাকাও সরকারের সংশ্লিষ্ট কোষাগারে জমা হবেনা। ফলে সরকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইজারা’র চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে পার্কটি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। কিন্তু টাকার লোভে সে নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্ক খোলা রেখে নিয়মবর্হিভূতভাবে টাকা আদায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাফারী পার্কের গেইট ইজারাদার বাবুল সিকদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধের নিয়ম থাকলেও পর্যটন মৌসুমে অতিরিক্ত দর্শনার্থী থাকার কারণে সাফারী পার্ক খোলা রাখা হয়।
এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মালেকের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি চকরিয়া নিউজকে জানান, ইজারা দারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, স্থানীয় এমপির বিশেষ সুপারিশে বন্ধের দিনে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ করা হচ্ছে। অনুমতিপত্র তার হাতে নাই এবং রাজস্ব বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তা বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্ত আবু নাছের মো: ইয়াছিন নেওয়াজ সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: