এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন এক নম্বর ব্লক লবণ মাঠ চিংড়ি প্রকল্পটি পাতাঁনো নিলামের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হরিলুটের প্রস্ততির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পত্রিকায় নিলামের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তাতে প্রকল্পের নাম সুনিদিষ্টভাবে উল্লেখ্য করা হয়নি। যাতে ইজারা নিতে ইচ্ছুক অনেকে প্রকল্পের ব্যাপারে অবহিত না হওয়ায় নিলামে অংশ নিতে পারেনি। ফলে এই সুযোগে সমিতির সংশ্লিষ্টরা মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করে কতিপয় তিনজনকে ফাঁতানো আগ্রহী ইজারাদার দেখিয়ে গত ৩ জানুয়ারী থেকে নিলামের মাধ্যমে প্রকল্পটি পাইয়ে দেয়ার জন্য তোঁড়জোড় চালাচ্ছে। এ ঘটনায় সমিতির সকলস্তরের সভ্য ও ইজারা নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ উঠেছে, অতি কৌশলে প্রথম দফার নিলাম প্রক্রিয়ায় প্রকল্পটি দুইবছর মেয়াদে (২০১৮-১৯ সালের) সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা ইজারা দেখিয়ে কার্যক্রম স্থগিত করেন। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পটির নিলামের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১০ জানুয়ারী।
সমিতির অনেক প্রবীণ সভ্য দাবি করেছেন, সমিতির মালিকানাধীন প্রকল্প সমুহ ইজারা দেয়ার আগে এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করা ও প্রচার বহুল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সমিতির কর্মকর্তারা নিজেদের আর্থিক উন্নতির জন্য আতাঁতের আশ্রয় নিয়ে সমিতির বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে এসব প্রচার থেকে বিরত রয়েছেন। অনুরূপভাবে সমিতির মালিকানাধীন এক নম্বর ব্লক লবণ মাঠ চিংড়ি প্রকল্পটি ব্যাপক কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা ছাড়াই সংশ্লিষ্টরা পাতাঁনো নিলামের মাধ্যমে তাদের লোকজনকে পাইয়ে দেয়ার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। এতে ইজারা নিতে ইচ্ছুক প্রকৃত চিংড়ি চাষীদেরকে সমিতির উপ-আইন লঙ্ঘন করে নিলাম কার্যক্রম থেকে সুকৌশলে বাদ দেয়ার জন্য সমিতির কর্মকর্তারা অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছেন।
সমিতির সদস্যরা জানান, এ ধরণের নিলাম কার্যক্রমের কারণে সমিতির লাখ লাখ হরিলুটের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সমিতি বড় ধরণের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এব্যাপারে সমিতির সকলস্তরের সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্মকর্তা, চকরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
পাঠকের মতামত: