অনিয়মের কারনে বদরখালী বাজারে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে।
এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের বদরখালী বাজারে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। দায়িত্বরত ডাক্তার ও সহকারীদের অনিয়ম রোগীদের সাথে র্দুব্যবহার ও ভূল চিকিৎসার কারনে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা হয়রানির শিকার যেন নিয়মে পরিণিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেসরকারী এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে ইউনিয়নের সাতডালিয়া পাড়া এলাকার মোঃ ছফার ছেলে হোছন প্রকাশ কালু ড্রাইভারের স্ত্রী রিপা আক্তার স্থানিয় ডাক্তার ছেনু আরা বেগমের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলে উক্ত চিকিৎসক একটি আল্ট্রাসোনাগ্রাফী পরীক্ষায় দেন তার গর্ভবতী স্ত্রীকে। উক্ত পরীক্ষা করতে তিনি বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের শরাপন্ন হয়। কিন্তু হাসপাতালে তখন টেকনিশিয়ান না থাকার কারনে রোগিকে সকালে আসতে বলে কর্তব্যরত নার্স। এর পরের দিন সকালে হাসপাতালে গেলে রোগির সাথে আসা রোগির আত্মীয় নুর নাহার বেগম ডাক্তার আছে কিনা জানতে চাইলে নার্স আছে বলেন, এসময় রোগির স্বামীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নুরু নাহার মুঠোফোনে ডাক্তারের সাথে পরীক্ষাটির বিষয়ে একটু কথা বলতে বললে নার্স তৈলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এক পর্যায়ে রোগি ও রোগির আত্মীয়কে কে অকাথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটি হলে রোগি ও রোগির সাথে চিকিৎসা নিতে আসা তার আত্মীয় নুর নাহার বেগমকে হাসপাতালের এমডি কাইছার হামিদের নেতৃত্বে স্টাফরা তাঁদেরকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলে রোগির স্বামী হোছেনের অভিযোগ।
রোগীর স্বামী হোছেন দাবি করেছেন, তার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথাকাটির জের ধরে তাদেরকে রুমে তালা মেরে রেখেছে বলে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের কি অপরাধ জানতে চাইলে হাসপাতালের এমডি আমাকে মারধর করার হুমকি দেন।
এতে আমি প্রতিবাদ করায় উক্ত হাসপাতালের এমডি মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মিথ্যা এজাহার দিয়েছে। এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত এমডির স্ত্রী স্থানিয় হওয়ার সুবাদে দাপটের সাথে রোগিদের সাথে দুব্যবহার করা যেন নিয়মে পরিণিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে গত ৯ এপ্রিল শাহেনা আক্তার নামের এক রোগির ভূল চিকিৎসার কারনে একই মাসের ১৪ এপ্রিল চকরিয়া থানায় হাসপাতালের এমডি কাইছার হামিদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, রোগি শাহেনা আক্তার পাশ্ববর্তী মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। তবে থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন রোগির বড় ভাই নুরুল আবছার। তিনি বদরখালী ইউনিয়নের উত্তর নতুন ঘোনার বাসিন্দা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অগ্মিকান্ডের মত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা প্রস্তুতি নেই বললেই চলে। অটো ফায়ার স্পিংলার সিস্টেম নেই। নেই কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অগ্নি নির্বাপক কর্মীও। এ হাসপাতালের মালিকরা ‘বিল্ডিং কোড’ ও ফায়ার সার্ভিসের কোন আদেশ না মেনে যে যার মত স্থাপনা নির্মাণ করে হাসপাতাল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। রোগি হয়রানি বন্ধে উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন হয়রানির শিকার ভোক্তভোগিরা।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নিবাহী অফিসার নুরুউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলি নোমান বলেন, বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হবে। অনুসন্ধানে অনিয়ম পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ###
পাঠকের মতামত: