ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বছরে স্তন ক্যান্সারে মারা যান ৭ হাজার নারী

breast

প্রতি বছর মরণব্যাধী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন দেশের ১৪ হাজার ৮২২ জন নারী। এর মধ্যে মারা প্রায় অর্ধেক নারীই (৭ হাজার ১৩৫ জন) বিভিন্ন সময় মারা যান। ক্যান্সার গবেষণার দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার’র সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় আগামী ১০ অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া মাসব্যাপী ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ প্রচার অভিযান কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

লিখিত বক্তব্যে ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মো. হাবিবুল্লাহ্ তালুকদার রাসকিন বলেন, নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার যথাক্রমে ২৩.৯ শতাংশ ও ১৬.৯ শতাংশ।

তবে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভিত্তিক ক্যান্সার নিবন্ধনের ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তথা ২৭.৪ শতাংশই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয় তথা ১২.৫ শতাংশ। শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার ১৭.৯ শতাংশ।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিবছর সব মিলিয়ে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন জানিয়ে রাসকিন বলেন, এদের মধ্যে ৯১ হাজার ৩৩৯ জন মারা যান।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেক দেরিতে সচেতনতার অভাবে ক্যান্সার সনাক্ত হয়। ফলে রোগীদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই এ রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা গেলে প্রাথমিক পর্য‍ায়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অক্টোবর মাসব্যাপী সচেতনতা মূলক নানা কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর সকাল ৯টায় শাহবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভিসির নেতৃত্বে গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা বের করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনেকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, অপরাজিতা-এর চেয়ারপারসন নিলুফার তাসনিম, সিসিপিআর-এর নির্বাহী পরিচালক মুসাররাত সৌরভ, ডা. সাঈদা খানম, হেলেনা মহসিনা সরকার, ডা. সাইয়েদা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: