মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::
বাংলাদেশের প্রথম সাফারি পার্ক চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। এখানে ভ্রমণ পিপাসুদের দিনদিন মন কাড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও শতবর্ষী মাদার ট্রি গর্জন।
সম্প্রতি এ পার্ক থেকে গোপনে শতবর্ষী মাদার ট্রি গর্জন গাছ বিক্রির ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তোলপাড় চলছে। ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটছে সচেতন মহলের। পার্ক রক্ষনাবেক্ষনকারীরা এ কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ওই গাছের একটি অংশ সমিল থেকে উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সরেজমিনে একটি বৃহদাকার মাদার ট্রি গর্জন গাছের কাটা অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পার্ক সীমানার বাইরে বসবাসরত রুহুল কাদের নামের ব্যক্তি জানায়, বিগত বর্ষার সময় ঝড়ো হাওয়ায় পার্কের বৃহদাকার গর্জন গাছটি ভেঙ্গে পড়ে। গত এক সপ্তাহ আগে সাফারি পার্কের লোকজন এ গাছের নিচের কিছু অংশ রেখে অবশিষ্ট গাছটি বিক্রি করে দেয়। স্থানীয় কাছিম মাঝি নামের এক ব্যক্তি এটি কিনে নেয়। পরে পার্ক কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলার গুলিস্তান বাজারের একটি স’মিল থেকে ওই গাছের একটি অংশ উদ্ধার করেন। কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়নি কাছিম মাঝির দেওয়া গাছ ক্রয় বাবদ টাকাগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুলিস্তান বাজার এলাকার সমিল ম্যানেজার বলেন, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ থেকে গাছ কিনেছে উল্লেখ করে একটি গর্জন গাছের অংশ স’মিলে নিয়ে আসে কাছিম মাঝি। একইদিন পার্কের কিছু কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা স’মিল থেকে গাছটি আবার নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত রেঞ্জ কর্মকর্তা ভাল জানবেন। এদিকে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে এবিষয়ে কিছুই জানাতে রাজি হননি। তথ্য প্রযুক্তির নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে এ ব্যাপারে জানার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুসন্ধানে সাফারি পার্কের পার্শবর্তী এলাকার লোকজন জানান, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে দীর্ঘদিন ধরে গাছ চুরিসহ বন্যপ্রাণী শিকার করছে পার্শ্ববর্তী হায়দারনাসী ও গুলিস্তান বাজার এলাকার একাধিক চক্র। পার্ক সীমানা এলাকায় কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার নজরদারি না থাকায় চলছে এ ধ্বংসযজ্ঞ।
সরেজমিনে দেখা যায় অনিয়ম-দুর্নীতিতে নির্মিত ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক সীমানা দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়ছে। নির্মাণের এক বছর শেষ না হতেই পুরো পার্ক সীমানায় প্রায় অর্ধ ডজন প্রবেশ পথ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিমত এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে পার্কের উন্মুক্ত বন্যপ্রাণীসহ সাফারি পার্কের মহামূল্যবান গাছ। অপরদিকে দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বাহির থেকে বন্য হাতি প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সম্মুখ অংশ শতবর্ষী মাদার ট্রি’র অপূর্ব সমাহার। কিন্তু পার্কের শেষ সীমান্তে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃক্ষ বিহীন নেড়া ভূমি চোখে পড়ার মতো। এর পেছনে কারা রয়েছে! গাছ ও প্রাণী চোরদের সাথে পার্ক কর্মকর্তারা জড়িত আছে কিনা! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
পাঠকের মতামত: