ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জব্দকৃত যন্ত্রাংশ লাখো টাকায় বিক্রির অভিযোগ

ovijog_1ঈদগাঁও প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযানে জব্দকৃত যন্ত্রাংশ লাখো টাকায় বিক্রি করে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে উক্ত দূর্নীতির বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায়, রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল হক ফুলছড়ি রেঞ্জে যোগদানের পর থেকে তার অধীন বন বিট গুলোর অবশিষ্ট বনাঞ্চল ও ভূমি গুলো ধ্বংসের মহোৎসব শুরু হয়। গড়ে তুলে কাঠ পাচারকারী ও ভুমি খেকোদের সাথে সখ্যতা। উরধতন কর্মকর্তা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাদের তার অনিয়ম ও দুর্ণীতির নির্দেশগুলো নিরবে মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। এর অংশ হিসেবে বিগত মাস তিনেক পূর্বে খুটাখালী বনবিট কতৃক বিভিন্ন সময় পরিচালিত অভিযানে জব্দকৃত করাত কলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাতের আঁধারে উক্ত অসাধু রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল লাখো টাকার বিনিময়ে স্থানীয় শফি নামের এক লোককে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠে। বিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাককে বাধ্য হয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার অনিয়ম মেনে নিতে হয় বলে সূত্রে প্রকাশ। পরে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ উক্ত দুর্নীতির তদন্তে ফুলছড়ি রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইউসুফকে দায়িত্ব প্রদান করে। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এ অসাধু রেঞ্জ কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিতে দায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করতে থাকে। এতে অনেকটা সফলও হয়েছে এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। যার কারণে রহস্যজনকভাবে তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক ইউসুফ বিগত দুই মাসেও রিপোর্ট প্রদান করেনি। সংশ্লিষ্ট সুত্রে প্রকাশ, নিরুপায় এ কর্মকর্তা অনিয়ম ধামাচাপা দিতে অন্যত্র থেকে হলেও এসব যন্ত্রাংশ ক্রয় করে উক্ত বিটে রেখে ওইসব মালামাল বিক্রি করা হয়নি, এখনো আছে তা দেখানোর মিশনেও নেমেছে বলে গোপন সুত্রে প্রকাশ। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে খুটাখালী বিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তদন্তের বিষয়টি এড়িয়ে অভিযোগটি ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন। অপরদিকে অভিযোগ উঠা রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেলের মোবাইল নাম্বারে বারবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি। তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ফুলছড়ি রেঞ্জের এসিএফ ইউছুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ দূর্নীতির সত্যতা নিশ্চিতে উক্ত বন বিটের অভিযানে মালামাল জব্দ তালিকা এবং জব্দকৃত মালের ডিপো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হলে তার সত্যতা মিলবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীদের দাবী। এছাড়াও বর্তমানে নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তির বিক্রিত বনবিভাগের জায়গায় এক প্রবাসী বিশালাকার দালান কোটা মোটা অংকের টাকায় এ রেঞ্জ কর্মকর্তা নির্মাণে সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার গোচরেই রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিটের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্তমানে পাহাড় কাটা, মাটি বিক্রি, কাঠ পাচার ও ভূমি বিক্রি বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। যা তথ্য সহকারে পরবর্তিতে প্রকাশ করা হবে। দৈনিক, মাসিক, ভূমি বিক্রি ও গাড়ী প্রতি উক্ত অসাধু কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা। রক্ষক ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করাতে অত্র এলাকার অবশিষ্ট বনাঞ্চল প্রায় ধ্বংসের প্রান্ত সীমায়। তদন্ত পূর্বক এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনসাধারণ।

পাঠকের মতামত: