জমে উঠেছে চকরিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্থ সময় পার করছেন। দলীয় প্রতীক নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল চারদিকে নির্বাচনী আমেজ ফুটিয়ে তুলেছে সমর্থকরা। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় মর্যাদার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আর প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। ভোটাররা চাচ্ছেন শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ। যার মাধ্যমে তারা এলাকার উন্নয়নে প্রার্থী নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।
জানা যায়, আগামী ২৩এপ্রিল ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আলোচিত ইউনিয়ন হচ্ছে ইউনিয়ন হচ্ছে ফাঁশিয়াখালী। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত মাওলানা এহেসানুল করিম (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন হাসান শাহেদ (আনারস)। নৌকা প্রতীকের গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এরআগেও দুই দফা বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ ভোটারের ধারণা, আওয়ামীলীগের মনোনীত গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী দূর্বল হওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। মাওলানা এহেসানুল করিমকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে একদিনের জন্য মাঠে নামেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন হাসান শাহেদ আনারস প্রতীক নিয়ে জোর প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন। তিনিও বিজয় হতে মাঠে ময়দানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিকে সকাল হতে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজের পক্ষে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি দিচ্ছেন নানা রকম উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। তবে শেষ পর্যন্ত কে হাসবে সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩এপ্রিল।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে, ভোটাররা নির্বাচিত করতে পারবে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
পাঠকের মতামত: