ঢাকা,শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রস্তুত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল, রাত পোহালেই উদ্বোধন

মহেশখালী সংবাদদাতা :: অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে  আজ রাতেই । রাত পোহালেই মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর,কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর তিনি আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত মাতারবাড়ী প্রকল্পের টাইনশিপ মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন।

তিনি আসার খবরে উচ্ছ্বসিত সাগরপারের মানুষ। সবার দৃষ্টি কাড়ছে এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান।

বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশির বুকে মাতারবাড়িতে ১ হাজার ৩১ একর জায়গাজুড়ে চলছে এই বন্দর নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। ২০২৬ সালে এই বন্দর চালুর লক্ষ্য কর্তৃপক্ষের। তাদের দাবি, এই বন্দর হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ট্রান্সশপিমেন্ট বন্দর।

কাল শনিবার (১১ নভেম্বর) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, মাতারবাড়ী হচ্ছে দেশের আগামী দিনের নতুন দিগন্ত। একসময় শহর হবে, শিল্পঅঞ্চল হবে; পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে মানুষজন আসবে।

তারা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে। দেশীয় চাহিদা বিবেচনায় নয়, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে সিঙ্গাপুর, কলম্বো, কিংবা পোর্ট কেলাংয়ের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ট্রান্সশপিমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্র্যান্ডিং করার লক্ষ্য বন্দর কর্তৃপক্ষের।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, আমাদের লোডিং-আনলোডিং খরচ কমে যাবে।

সার্বিকভাবে আমাদের আমদানি-রফতানির সময়টাও কমে যাবে। আমার মনে হয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটি বড় একটি আনন্দের বিষয়।

১৮ মিটার গভীরতার চ্যানেলের কারণে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে পারবে সাড়ে ৮ হাজার কন্টেইনার বহনকারী বড় আকারের জাহাজ।

২০২৬ সালে বন্দরটি চালু হলে এ অঞ্চলে বড় পরিবর্তনের আশা স্থানীয়দের। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দিচ্ছে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা।

 

পাঠকের মতামত: