নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের অফিসে বসে প্রকাশ্যে মদ সেবনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অফিসে উপস্থিত হয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাঁধা দিতে গেলে উল্টো হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল হক সিকদার। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী বাজারস্থ আওয়ামীলীগ অফিসে ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের সহকারি শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এতে হামলার ঘটনায় লায়েক, সহযোগি সম্রাট, রুবেল ও শাহ আলম নামের চারজনকে বিবাদি করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মুহাম্মদ যোবায়ের এজাহারটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোনাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী বাজারস্থ আওয়ামীলীগ অফিসে বসে মদপান করছিলেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলীয় অফিসে এইধরণের অনৈতিক কর্মকাণ্ড না করতে তাদেরকে বাঁধা দেন। এসময় অভিযুক্তরা গালিগালাজ করতে করতে উল্টো তাঁর ( চেয়ারম্যান) উপর হামলার চেষ্ঠা করে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে এসে মদপানরত অভিযুক্তদের ধাওয়া দেয়। পরে তাঁরা পালিয়ে যায়। তাদের এইধরণের অপর্কমের কারণে দলের ভাবমুর্তি ক্ষন্ন হচ্ছে।
চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, জড়িতরা দীর্ঘদিন ধরে নানাধরণের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় একছত্র নিয়ন্ত্রন চালাচ্ছে। এমনকি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী হবো, সেই কারণে আগে থেকে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার প্রচার-প্রচারণা কাজে বাঁধা দিবে বলেও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এখন আমাকে ফাঁসানোর জন্য তাঁরা পরিকল্পিত একটি ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে হয়রাণির চেষ্ঠা চালাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: