নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম আজম খানসহ তাঁর পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে। ৮ মে (শুক্রবার) দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সিরাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অপর আহতেরা হলেন, আজম খানের ছেলে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও চট্টগ্রামস্থ ছাত্র যুব কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম ইয়াসির আরফাত(২৫), রুস্তম আলীর ছেলে ফোরকান (৩৫), ললি বেগম (২০) ও জসিম উদ্দিনের ছেলে আরফান (২১)। আহতের মধ্যে কলেজছাত্র ইয়াসির আরফাতের কান ও চোখে মারাত্বক জখম হওয়ায় চমেক হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যরা পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে আহতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আহত ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এম আজম খান বলেন, ওই দিন বিকেলে আমি নিজ বাড়ি সিরাদিয়া থেকে পার্শ্বের মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলাম। ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার আবুল কাশেম বৈদ্যের ছেলে হত্যা মামলার আসামী কাইছার বাহিনীর প্রধান কাইছার উদ্দিন, তার ভাই ইমরান, সাজ্জাদ, মৃত এমদাদ মিয়ার ছেলে আফতাব উদ্দিন, তার ছেলে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আমাকে উদ্ধার করার ওই সময় আমার সন্তান আরফাতসহ ভাইপোরা এগিয়ে আসলে তাদের নেতৃত্বে কাইছারের ছেলে বাহাদুর, আফতাব উদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন, মিজান,মিরাজসহ আরো বেশ কয়েকজন মহিলা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এমনকি তারা দারালো কিরিচের কোপ দিয়ে ছেলে আরফাতের কান কেটে নেয়। চোখেও জখম করে।
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খান আরো বলেন, বিগত তিন বছর আগে কাইছারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার ভাইপো কপিল উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। এবিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। এঘটনায় তারা আটক হয়ে জেলও কাটেন। জেল থেকে বের হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। পেকুয়ার এ ভয়ংকার সন্ত্রাসীরা আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যাচেষ্টা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে এবং পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। হামলার বিষয়ে আমি থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছি।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে আরো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: