ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ৫ দিনে সমাগম ঘটেছে ৬ লক্ষাধিক পর্যটকের। ১৩ ই সেম্পেম্বর থেকে ১৭ সেম্পেম্বর পর্যন্ত বিপুল পরিমান পর্যটক অবস্থান করছে এ সৈকত নগরীতে।
হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতরি সাধারন সম্পাদক উমর সুলতান জানান কক্সবাজারে অবস্থিত সাড়ে ৪’শ হোটেল ,মোটেল, গেস্ট হাউস,রেস্ট হাউস আর কটেজগুলোতে ১৩ সেপ্টম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেছে। ”
সায়মান বীচ রির্সোটসের সেল্স এন্ড রিজারভেশন এক্সিকিউটিব মোঃ হোসাইন বলেন “ এ মাসের ১৩ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের হোটেলের ২২৮ টি কক্ষের সব ক’টিই অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছিল। একমাস আগে থেকেই পর্যটকেরা বুকিং দিয়ে রেখেছিল। তাই ঈদের আগে অনেকে বুকিং দিতে চাইলেও আমরা তাদের কক্ষ দিতে পারিনি। আজ থেকে কিছু কক্ষ ফাঁকা হতে শুরু করবে। ”
ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ডোজি ইন্টারন্যাশনালের অপারেশন ম্যানেজার ফাহাদ আরেফিন রিফাত বলেন “ ঈদের প্রায় ২০-২৫ দিন আগে থেকেই পর্যটকেরা আমাদের ফোন করে বিভিন্ন হোটেলে কক্ষ বুকিং দিয়ে রেখেছিল। অনেকেই টেকনাফ, ইনানী, সেন্টর্মাটিন যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে নেন। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন আগে করে যারা আমাদের ফোন করে কক্ষ বুকিং দিতে চেয়েছে তাদের আমরা পছন্দমত কক্ষ দিতে পারিনি। কারন ভালো মানের প্রতিটি হোটেলের শতভাগ কক্ষই অগ্রিম বুকিং ছিল। ”
র্দীঘদি পর যেন আশার আলো দেখতে পেয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়িরা । লাবনী ঝিনুক মার্কেটে রয়েছে ৩’শ টির মত দোকান। প্রতিটি দোকানেই এখন প্রতিদিন ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার বিকিকিনি হচ্ছে। ঝিনুক বহুমুখি র্মাকেট মালিক সমিতির সভাপতি কাশেম আলী বলেন “ রোজার ঈদের পর থেকে পর্যটক একেবারেই ছিলনা। আমাদের ব্যবসা মূলত পর্যটকদের জন্যই, তারাই আমাদের মূল ক্রেতা। আড়াই মাস পরে হলে ঈদের দিন থেকে প্রচুর পর্যটক আসছে। আমরাও আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পেরেছি। ”
সৈকত পাড়ের ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্ট তাব্বাকের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম “ ঈদের দিন থেকে রেস্টুরেন্টে প্রচুর পর্যটক আসছেন। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে দেশি-বিদেশি রেসিপি দিয়ে পর্যটকদের আমরা আপ্যায়ন করছি। শিশুদের জন্যও আমরা কিডস জোন করেছি। বড়দের সাথে শিশুরাও পাবে উপভোগ করার মত পরিবেশ। ”
শহরের বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও পর্যটকদের ভীড় ছিল লক্ষ্যনীয়। বার্মিজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি অং চিং বলেন “পুরো বার্মিজ মার্কেট এলাকায় প্রায় ২৫০ টি দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানের কর্মিরা এখন ব্যস্ত। ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের বেচাকেনা খুবই ভালো চলছে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। দায়িত্ব পালন করছে লাইফ র্গাডের কর্মীরা।
পাঠকের মতামত: