ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :::
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দকৃত ভবনকে ব্যবহার করে প্রাইভেট ক্লিনিক বাণিজ্যে মেতেছেন কর্মরত এক সরকারী চিকিৎসক। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খোদ ভারপ্রাপ্ত আরএমও নুরুল আলম’ই চালিয়ে যাচ্ছেন এই চিকিৎসা বাণিজ্য। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের যোগসাযোগে বিনামুল্যে সরকারী চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের একপ্রকার বাধ্য করে নিয়ে যাচ্ছেন তার প্রাইভেট ক্লিনিকে। নিজের সরকারী বাসভবনে ক্লিনিকের মত রোগীর সিট বসিয়ে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন এই গলাকাটা বাণিজ্য।
গতকাল শনিবার(১৫মে) সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতরে অবস্থিত উক্ত প্রাইভেট ক্লিনিকের সবক’টি সিটেই রোগী ভর্তি। উক্ত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে অধিকাংশই সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাদের এখানে পাঠানো হয়েছে। কে পাঠিয়েছে তা জানতে চাইলে কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। সব রোগীর চিকিৎসার ফাইলে দেখা মেলে একাধিক পরীক্ষার রির্পোট। এত পরীক্ষা ডাক্তার কেন দিলেন জানতে চাইলে এক শ্বাসকষ্ট রোগী বলেন, ডাক্তার নিদিষ্ট স্থান থেকে করে আনতে বললো, করে আনলাম। চিকিৎসার জন্য তো করতেই হচ্ছে, তার সাফ জবাব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারী হাসপাতালের এক সাবেক চিকিৎসক জানান, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার মুজিবুর রহমানের সাথে গোপন আতাতে চলছে ডাক্তার নুরুল আলমের এসব অনিয়ম। তিনি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী থেকে তাদের ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেওয়ার নামে দশ-বার লাখ টাকা মাসোহারা আদায় করে থাকেন তিনি। রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে নিদিষ্ট ল্যাব(নুর ডায়াগষ্টিক সেন্টার) থেকে পার্ন্সেটিস আদায় করেন কয়েক লক্ষাধিক টাকা। তাছাড়াও উক্ত ক্লিনিকে বিভিন্ন নারী রোগীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডাক্তার নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার মুজিবুর রহমান বলেন, পেকুয়ায় সার্বক্ষণিক পাওয়া যায় এই একটি মাত্র ডাক্তারকে। তিনি ডিউটি টাইম শেষে ক্ষুদ্র পরিসরে নিজের বাসায় রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। তা দোষের কিছু নয় বলেও জানান তিনি।
প্রকাশ:
২০১৬-০৫-১৫ ১৭:০০:০৭
আপডেট:২০১৬-০৫-১৫ ১৭:০০:০৭
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় সমিতির নামে অসহায় পরিবারের দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে
- কিশলয় স্কুলের কেরানী সেলিম কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্চিত
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস থেকে শটগান ও ২৮রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা, হট্টগোল হাতাহাতি
- চকরিয়ায় মসজিদের উঠান থেকে কাফনের কাপড়সহ কার্টুনভর্তি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- শহরতলীর রাবারড্যাম সড়কে নির্মাণাধীন মসজিদের জমি দখলে হামলা, ভাংচুর-লুটপাট
- বৈষম্যমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় জামায়াত:
- জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে
- শহরতলীর রাবারড্যাম সড়কে নির্মাণাধীন মসজিদের জমি দখলে হামলা, ভাংচুর-লুটপাট
- কিশলয় স্কুলের কেরানী সেলিম কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্চিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- চকরিয়ায় মসজিদের উঠান থেকে কাফনের কাপড়সহ কার্টুনভর্তি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারি জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা, হট্টগোল হাতাহাতি
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস থেকে শটগান ও ২৮রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- চকরিয়ায় সমিতির নামে অসহায় পরিবারের দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পাঠকের মতামত: