পেকুয়ায় এসেছেন নির্যাতনের শিকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম। ৩১ মার্চ ইউপি নির্বাচনে ভোট প্রদানের সময় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও ডিএসবি’র কিছু সদস্যরা তাকে বিএনপি-জামায়াতের ইশারায় নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করে। বিএনপি-জামায়াতের কালো টাকার বিনিময়ে সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম কর্ণধার এ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে এসময় তাকে লক্ষ্য করে ওই জোয়ানরা গুলিও ছোড়ে। এতে তিনি প্রাণে বাঁচলেও মারাত্মক আহত হয়েছেন। এদিকে ১২ এপ্রিল চিকিৎসা শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম রাজধানী ঢাকা থেকে তার নিজ এলাকা পেকুয়ায় আসেন। অপরদিকে প্রিয় এ নেতার পেকুয়ার আগমন এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক নজরে তাকে দেখতে ও সংবর্ধিত করতে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা প্রায় ৫ শতাধিক মোটর শোভা যাত্রা নিয়ে তাকে অর্ভ্যথনা জানাতে জড়ো হয়েছেন।
আজ দুপুরে পেকুয়া-চকরিয়া সীমান্ত পয়েন্টের বরইতলী রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাকে সড়ক পথে পেকুয়ায় নিয়ে আসে। এসময় ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের লোকজন প্রতিবাদ মুখর হয়ে সড়কে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেছেন। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী চৌ-রাস্তা মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এ প্রতিবাদ সভা আহব্বান করে। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাফর আলম। বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক নির্যাতিত নেতা আবুল কাশেম, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি এম.দেলোয়ার হোসেন, ফরিদুল আলম, উপজেলা আ.লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, ছৈয়দুল হক, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জিএম আবুল কাশেম, টৈটং ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক ও চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, সম্পাদক শাহ জামাল, মগনামার সভাপতি খাইরুল এনাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ হাসেম, সম্পাদক রশিদ আহমদ, বারবাকিয়ার সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মো.বারেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গনি, সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সৈনিকলীগ সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছার, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা প্রজন্মলীগ সভাপতি মোকতার আহমদ, সম্পাদক ইসমাইল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম.কফিল উদ্দিন বাহাদুর ও সম্পাদক এহতেশামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগ নেতা বশির আলম, কাইছার ভুট্টো, আলমগীর মেম্বার, যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হক জিকু, সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, শাখাওয়াত হোছাইন সুজন, মহি উদ্দিন, মিজবাহ উদ্দিন, করিম, বাদশা, আলতাফ, শাহেদ ইকবাল, ফরহাদুজ্জামান, নাছির উদ্দিন, আছাদুল হক, জাফর আলম, হেলাল উদ্দিন, আবুল কালাম, আজিজ, মৎস্যজীবীলীগ নেতা মনছুর, শ্রমিকলীগ নেতা জহির, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুল আবছার, আলী হোছেন, ছাত্রলীগ নেতা আমিন, শওকত, পারভেছ, ফারুক, জয়নাল প্রমুখ। সদর আ.লীগের সভাপতি এম.আজম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক বেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম জনতার উদ্দেশ্য বলেন, আমি মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করেছেন। আপনাদের ভালবাসায় ও আন্তরিকতায় আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমাকে বিনা কারনে হত্যার উদেশ্যে নিষ্টুর নির্যাতন চালানো হয়েছে। গুলি করে প্রাণনাশ করার চেষ্টা করা হয়। সেদিন পেকুয়ার প্রশাসনের উপস্থিতিতে নির্বাচনে দায়িত্বকালীন সময়ে বিপদগামী কর্মকর্তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে। বিজিবি কক্সবাজারের সিও আনোয়ারুল আজিম, র্যাবের উপ অধিনায়ক সৈয়দ মুহসিনুল হক, ডিএসবির’র এএসপি সাহলাও মারমা, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল, পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুইয়াসহ র্যাব, পুলিশও বিজিবির কিছু কর্মকর্তারা এ ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী। আমরা ক্ষমতাসীনদল সহনশীল পরিবেশ কামনা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসছে। এরপরেও এঘটনার জন্য দায়ী কেউ পার পেতে চেষ্টা করলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।
পাঠকের মতামত: