ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় টাকা নিয়ে পকেট কমিটি, বিক্রেতার বিরুদ্ধে এ্যাকশন চান আ’লীগ!

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। সম্মেলন ও কাউন্সিল ছাড়াই একটি পকেট কমিটি ঘোষিত হয়েছে। এনিয়ে আ’লীগে বিভক্তি ধারা তৈরি হয়েছে। অন্ত:দ্বন্ধ ও কোন্দলের মধ্যে রাজাখালীতে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বৈধ কমিটির অন্তরায় হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে।

প্রেস ব্রিফিং হচ্ছে পাল্টা পাল্টি। দলের মধ্যে হঠাৎ বিভাজন ও অন্ত:কোন্দল দেখা দেয়ায় আ’লীগের আদর্শিক কর্মী ও নিষ্টাবানদের মধ্যে হতাশাও দেখা দিয়েছে। সম্মেলন ছাড়াই দু’জনে কিভাবে কমিটি অনুমোদন দিতে পারে এমন খবরে আ’লীগের নেতাকর্মীরা বিষ্মিত হয়েছেন। তারা কমিটি ঘোষনাকে একপেশি ও রাজনৈতিক শিষ্টচার বিবর্জিত হিসেবে দেখছেন। এমনকি দলের গঠনতন্ত্র ও স্বকিয়তাকে বিনষ্ট করে এ কমিটি ঘোষনা বিশৃংখলা ও দলের শৃংখলা ভঙ্গেরও গুরুতর অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান কমিটি বহাল রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারী ও নষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা জোরালো দাবী জানাচ্ছেন। ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম আযাদের নেতৃত্বে আ’লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। কিন্তু এর গতিশীলতাকে থামিয়ে দিতে কাজ করছে একটি চক্র। ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি- সম্পাদকসহ জৈষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দরা এহেন কর্মকান্ড নিয়ে মুখ খোলতেও দ্বিধা করেন নি।

১নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি ইদ্রিস সওদাগর ও সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম জিহান জানায়, আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়া কোন কমিটি গ্রহন করবনা। মেনে নেবনা চাপিয়ে দেয়া কোন নেতৃত্ব। লজ্জা লাগে নেতাদের এমন কর্মকান্ড নিয়ে।আমরা বিএসসি-কাসেমের নেতৃত্বে এখানে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। শুনতেও অবাক লাগে দু’জন উচ্চ শিক্ষিত নেতাকে বাদ দিয়ে অপর দু’জন অশিক্ষিত মানুষের হাতে আ’লীগ যাবে।

২নং ওর্য়াড আ’লীগের সভাপতি নেজাম উদ্দিন ও সম্পাদক রিদুওয়ানুল হক জানায়, এ ধরনের কমিটি একক অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ার আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নেই। আমরা এ আচরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়েছি। যারা বিপুল টাকা নিয়ে যে দু’জন দাগী মানুষকে আ’লীগ পরিচয় দিচ্ছে এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চাই। না হয় নেত্রীর ঘোষনার বাস্তবায়ন হবেনা।

৩নং ওর্য়াড সভাপতি আবুল বশর ও সম্পাদক ওসমান ছরওয়ার জানায়,ছিঃ ছিঃ। এটি আ’লীগের সাথে বাটপারী। আবু হেনা মোস্তফা কামাল চৌধুরী রাজাকারের সন্তান। তার পরিবারে একজনও আ’লীগ নেই। তার চাচা মাহমুদুল করিম চৌধুরী বিএনপির প্রতিষ্টাতা সদস্য। তারা আ’লীগ করেনা। মুখে মধু, অন্তরে বিষ। এই রাজাকারের সন্তানের হাতে এভাবে আ’লীগ বিপর্যস্ত হবে। আমরা এ ব্যক্তিকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি থেকে অপসারন দাবি করছি।

৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক আশরাফ আলী, ৭নং ওর্য়াডের সম্পাদক আরকান, সহ-সভাপতি আনছার জানায়, আমরা পকেট কমিটি মেনে নিবনা। ছৈয়দনুর ২০১৩ সালে সবুজ বাজারে আ’লীগের নেতাকর্মীদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে। নাছির উদ্দিনও বিএনপির শ্রমিক সংগঠন করতেন। এরা অনুপ্রবেশকারী। টাকা দিয়ে কমিটি নিলে আমরা মেনে নেব এটা বিশ্বাস করা মানে বোকামি।

৫নং ওর্য়াডের সভাপতি মোকতার আহমদ ও সম্পাদক শামসুল আলম বলেন,রেডক্রিসেন্ট এর কার্ড বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আবু হেনা। আ’লীগের কোন নেতাকর্মী রেড ক্রিসেন্টের ত্রান পায়নি আবু হেনার সময়ে। সবকিছু বিএনপি-জামাতের লোকেরা ভোগ করেছে। এখন দায়িত্ব পেয়ে আ’লীগের কমিটিও বিক্রি করছে। বিতর্কিত ব্যক্তিরা রাজনীতি ও সমাজনীতি কোনটিতেই নিরাপদ নয়।

৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাফায়েত উল্লাহ মনু ও সম্পাদক ছলিম উল্লাহ বলেন, সম্মেলন ছাড়া কমিটি হলে আমরা রাজপথে নামব। আ’লীগ কারো বাপ দাদার সম্পত্তি নয়। বাপ-চাচা চৌদ্দ গোষ্টি বিএনপি করবে,আর এখানে আ’লীগের কমিটি বিক্রি করবে আমরা তা মেনে নিবনা।

৮নং ওর্য়াডের সভাপতি ছরওয়ার কামাল ও যুগ্ন সম্পাদক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি শুরুতেই বিতর্কিত হয়েছে। নেত্রী বলছেন সন্ত্রাসী, দাগী ও বিতর্কিতদের দায়িত্ব দেয়া যাবেনা।

অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতেও বলেছেন। কিন্তু পেকুয়ায় নেত্রীর সিদ্ধান্তকেও অবজ্ঞা করা হচ্ছে। তারা বিএনপি ও জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আবু হেনা একজন অগ্রহন যোগ্য ব্যক্তি। তারা আ’লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। আমরা পকেট কমিটি মানিনা।

৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জমির হোসেন জানায়,কমিটি দিয়ে যারা টাকা নিয়েছে, আ’লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সেই আবু হেনাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চাই। চিরতরে এ ধান্ধাবাজদের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি থেকে বিতর্কিত আহবায়ককে অপসারন করা হোক।

#####################

পেকুয়ায় মার্শাল আর্ট একাডেমির সনদ বিলি

পেকুয়া অফিস:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় গ্লোরিয়াস লায়ন মার্শাল একাডেমি কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বেল্ট ও সনদ বিতরণ অনুষ্টান সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার বিকেল ৩টায় পেকুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশিক্ষক ওস্তাদ ছৈয়দুল আলম মিনহাজ এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোরিয়াস লায়ন মার্শাল আর্ট একাডেমি সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এম দিদারুল করিম, পেকুয়া তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সমাজ সেবক মোঃ আশরাফ প্রমূখ। ওই দিন অতিথিবৃন্দরা ১০জন শিক্ষার্র্থীকে সার্টিফিকেট তুলে দেন। বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রাপ্তররা হলেন, অরেঞ্জ বেল্ট-হাসনাত, ইশা ও সিমরান। ইউলো বেল্ট-মিশু, পারভেজ, তুলি, মানিক, আব্দুল্লাহ, হাকিম ও শাহিন। এসময় একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশিক্ষক ওস্তাদ ছৈয়দুল আলম মিনহাজ শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বেল্ট পরিয়ে দেন।

পাঠকের মতামত: