নিজস্ব প্রতিবেদক :: পেকুয়ায় ভাতিজা মুহাম্মদ আলমগীরের কিরিচের এক কোপে চাচা আলী হোসেনের (৫০) ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও এলোপাড়াতিভাবে আরো কয়েকটি স্থানে কোপালে আটটির মত ক্ষত সৃষ্টি হয় পুরো শরীরে।
শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন (৫০) মইয়াদিয়া গ্রামের মৃত নুর আহমদের ছেলে ও ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারী আলমগীর একই এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে।
আহত আলী হোসেনের এক আত্মীয় বলেন, আলী হোসেনের এক মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যে মামলা বাদী আলী হোসেন আর আসামী আলমগীর ও তার শ্যালক। গত দেড় মাস আগে হামলাকারী আলমগীরকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। কারাভোগ করে গত এক সপ্তাহ আগে তিনি বের হয়েছেন। তারপর থেকে মামলার বাদী আপন চাচাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে আসছিল।
তিনি আরো বলেন, আলী হোসেন সকালে মইয়াদিয়া স্টেশন থেকে একটি মিশুক গাড়ি করে পেকুয়া বাজারের দিকে আসছিলেন। ওই সময় অল্প কিছুদূর গাড়িটি আসার পর পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা আলমগীর গাড়িতে বসা আলী হোসেনকে কিরিচের কোপ দেন। সাথে সাথে হাতের কব্জি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে ধানের জমিতে পড়ে যায়। কোপ খেয়ে আলী হোসেন পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারী আলমগীর ধাওয়া দিয়ে আরো ৭ থেকে ৮টি স্থানে কোপ দেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় আলী হোসেনকে উদ্ধার করতে গিয়ে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় আরো বেশ কয়েকজন লোক এগিয়ে এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করার পর পানি অপসারণ করে বিচ্ছিন্ন হাতটিও উদ্ধার করেন।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। আলী হোসেন নামে এক লোককে মারাত্মকভাবে আহত করার খবর পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আর হামলাকারীকে দ্রুত আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
পাঠকের মতামত: