ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ইয়াবা জব্দের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে অবশেষে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পণ্ডিত পাড়া এলাকা থেকে আলোচিত ইয়াবা জব্দের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে অবশেষে মামলা রুজু করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৯ জুন) পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হেশাম উদ্দিন মো. জুনাইদকে মামলাটি তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল পেকুয়া থানাধীন টৈটং ইউনিয়নের পন্ডিত বাড়ি এলাকার নির্মাণাধীন নতুন ওয়াসা ভবনের সামনে রাস্তার ওপর হতে স্থানীয় লোকজন ও চৌকিদারের নিকট সন্দেহজনক মনে হওয়ায় একটি মোটরসাইকেলকে থামানোর সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহী ও চালক গাড়িটি ব্রেক করে রাস্তার ওপর রেখে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিধিমতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে লাল রঙের একটি মোটরসাইকেল, এর মিটারের ওপর থেকে সচল একটি মোবাইল (০১৮১২৯৪৭৮৮৬), ডানপাশের লুকিং গ্লাসের সাথে ঝুলানো একটি হেলমেট ও মোটরসাইকেলের সিট খুলে এর নীচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার পরবর্তী পরিত্যক্ত উল্লেখ করে জব্দ তালিকা মূলে থানায় জিডি দায়ের করেন। বিষয়টি প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করা হয়।

কিন্তু গত ৪ জুন আদালতের বিবেচনায় উক্ত ঘটনা একটি আমলযোগ্য ও ঘৃণ্য মাদক পরিবহন সংশ্লিষ্ট ঘটনা হওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দেয়।

আদেশে বলা হয়, ওই ঘটনায় জব্দকৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল সিমের মালিকানা যাচাই করে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মাদক বহনকারী পলাতক আসামীর নাম-ঠিকানা সহজে বের করা সম্ভবপর ছিলো। মাদক পরিবহনের মতো ঘৃণ্য আমলযোগ্য ঘটনার আসামীকে আইনের আওতায় আনা সমীচীন। এতে আলোচ্য ঘটনার পলাতক অজ্ঞাত আসামী দিয়ে নিয়মিত জিআর মামলা দায়ের করে তদন্ত করার আইনগত ব্যবস্থা ও সুযোগ ছিলো। আদালতের জ্ঞান ও অবগতিতে এবং সামগ্রিক বিবেচনায় দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের অপরাধ মাদকদ্রব্য আইনে ফৌজদারি কার্যবিধি ধারা মোতাবেক আমলে নেয়া হলো। একইসাথে উক্ত ঘটনার জড়িত আসামী, সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত। এর ফলশ্রুতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়ে মামলাটি রুজু করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইয়াবা পাচারের এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: