মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া থানা পুলিশ কর্তৃক আটককৃত একটি লাল রংয়ের পালসার মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে গত কয়েক দিন ধরে নানা ধরনের চেষ্টা-তদবীর চালাচ্ছে গুটিকয়েক প্রভাবশালীরা! এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
পেকুয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন পূর্বে মগনামা সোনালী বাজার এলাকা থেকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোলতান মাহমুদ রিপনের দায়েরকৃত মামলার আসামী আলী আকবরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আলী আকবরকে বহন করা মোটর সাইকেলের কথিত মালিক মোটর সাইকেলটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেটি পেকুয়া থানার এসআই মো. শাহেদ উল্লাহ থানায় নিয়ে আসে।
এস আই শাহেদ উল্লাহ জানান, মোটরসাইকেলটি বর্তমানে থানায় রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত মালিককে মোটরসাইকেলটি দেওয়া হবে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাকলিয়া ছৈয়দ শাহ রোড এলাকার জনৈক বাসিন্দার ওই পালসার মোটরসাইকেলটি বাসার সামনে থেকে গত কয়েক মাস পূর্বে চুরি হয়। স্থানীয়দের ধারনা, মগনামা আফজলিয়া পাড়া গ্রামের জনৈক লোক চট্টগ্রাম থেকে ওই মোটরসাইকেলটি চুরি করে এনে কৌশলে ভূঁয়া নাম্বার প্লেট বসিয়ে ব্যবহার করছিল।
স্থানীয়রা জানান, মগনামা আফজলিয়া পাড়া গ্রামের এক লোক চট্টগ্রামের বাকলিয়া ছৈয়দ শাহ রোড এলাকা থেকে গত কয়েক মাস পূর্বে ওই মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে আসে। পরে মোটরসাইকেলের পিছনে একটি ভূঁয়া নাস্বার বসানো হয়। ভূঁয়া নাম্বারটি হচ্ছে কক্সবাজার লÑ১১-০০১৫। এ মোটরসাইকেলের নাম্বারের সত্যতা যাচাই করতে আজ ২৫ এপ্রিল যোগাযোগ করা হয় কক্সবাজার বিআরটিসি কার্যালয়ে। কিন্তু এ নাম্বারের কোন লাইসেন্স কক্সবাজার বিআরটিসি থেকে দেওয়া হয়নি।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে থানায় আটককৃত মোটরসাইকেলটি ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় গুটিকয়েক প্রভাবশালীরা নানা ধরনের চেষ্টা-তদবীর চালালেও পেকুয়া থানা পুলিশ ওই চোরাই মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেয়নি। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পাঠকের মতামত: