ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ

পেকুয়ার মগনামায় কাবিখা’র সড়ক উন্নয়নের কাজে অনিয়ম

বার্তা পরিবেশক :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে কাবিখা’র সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে কাজের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ এর কথা উঠে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ প্রদান সহ এলাকারবাসীর সমালোচনার মুখে পড়ে দায়িত্বরতরা। পরে তারা তড়িৎ গতিতে ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে যেততেন ভাবে অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে। এ অবস্থায় সচেতন মহলের প্রত্যাশা সড়ক উন্নয়নে অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন করা।

এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে অভিযোগ দায়ের করেছে মগনামা মহুরী পাড়ার মোঃ আবদুল জলিলের ছেলে আশেক বিন জলিল।

জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গ্রহণ করা দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে গ্রামিন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প মগনামার মুহুরী পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে আফজলিয়া পাড়া মডেল কেজি স্কুল পর্যন্ত সড়ক মাটি ও এইচবিবি দ্বারা উন্নয়নের জন্য ৫৬.১০০ টন গম বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

আর এই কাজের দায়িত্ব পড়ে ওই ওয়ার্ডেও (৫ নং ওয়ার্ড) এমইউপি সদস্য কামাল আহমদের ছেলে সরওয়ার কামালের কাছে। তিনি সহযোগি হিসেবে রাখেন একই এলাকার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলামকে। তারাই মূলত উক্ত সড়কের কোন প্রকার উন্নয়নের কাজ না করে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৭ মে’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ প্রদান করা হয়। এই অভিযোগের পরে তারা তড়িৎ গতিতে ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে যেততেন ভাবে অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে। অসম্পূর্ণ রয়ে যায় বেশ কিছু কাজ।

এ প্রসঙ্গে জানতে এমইউপি সদস্য সরওয়ার কামালকে ফোন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সঠিক নয়। কাজ অসম্পূর্ণ নেই। কাজ শেষ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্রতা করা হচ্ছে। একইভাবে আরেক অভিযুক্ত মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাজ শেষ হয়েছে। তারা নিজেদের পকেট থেকে দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবী সড়ক উন্নয়নে অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি বাকী কাজ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়।

পাঠকের মতামত: