নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে বামুলারপাড়ায় লবণ মাঠ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল ১ নভেম্বর (বুধবার) বেলা এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
হামলায় একপক্ষের আহতরা হলেন রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলারপাড়ার মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আমির আলী (৪০), মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী রুবি আক্তার (৪৫), মৃত শাহ আলমের স্ত্রী খতিজা বেগম (৬০), আমির আলীর স্ত্রী মোতাহেরা বেগম (৩৬), মৃত শাহ আলমের পুত্র নেজাম উদ্দিন (৩৮) তার ভাই নাছির উদ্দিন (৪৫), শাহ আলমের পুত্র কাইছার উদ্দিন (৩২), মৃত নুর আহমদের পুত্র শামশুল আলম (৬০)।
অপরপক্ষের আহতরা হলেন একই এলাকার জিল্লুর রহমান (২৩), ফরিদ আহমদ (৩০), পারভেজ উদ্দিন (২০), জয়নাল আবেদীন (৪০), আবু তৈয়ব (০৯) ও রেহেনা বেগম (৪৫)।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লবণ মাঠ নিয়ে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী বামুলারপাড়ায় মৃত আসহাব উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও স্থানীয় মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আমির আলী গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই লবণ চাষের জমি রোকেয়া বেগমের ভোগ দখলে রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে আমির আলী গংয়ের লোকজন হামলা চালিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, পৈত্রিক সম্পত্তির দাবী নিয়ে আমির আলীসহ তার পক্ষের ২০/২৫ জনের লোকজন লবণ মাঠ দখলের তৎপরতা চালায়। এর জের ধরে রোকেয়া বেগম ও আমির আলী গংদের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: