সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা করে তাদের এনাইডি বাতিল এবং হালনাগাদ ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ভোটার হওয়া বন্ধের দাবীতে স্বারকলিপি প্রদান করেছে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি। ১ জুন বেলা ১১ টায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং নির্বাচন অফিসে এই স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রথম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজের স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদ্বয় বলেন,রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষকে আরো সোচ্চার হতে হবে। তারা যাতে কোন ভাবেই বাংলাদেশের নাগরিক বনে যেতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রশাসনও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছে।
পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মার হাতে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি জনপ্রতিনিধি সহ সবাই আরো সতর্ক থাকবে হবে। সর্বোপরি স্থানীয় মানুষকে আরো সচেতন থাকতে হবে।
স্বারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির উপদেস্টা এড,তাপস রক্ষিত,সভাপতি মাহাবুবুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম,নির্বাহী সদস্য এড,মোহাম্মদ ইসমাইল,ফরিদুল ইসলাম,সুলতান মাহমুদ,মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ।
এ সময় কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্ধ স্বারকলিপিতে বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে পার্শবর্তি দেশ মিয়ানমার থেকে নানান অযুহাতে রোহিঙ্গা এসেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত খুব কম সংখ্যত ফেরত গেছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা আবারো বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মানবিক কারনে আশ্রয় দিয়েছে সে সময় কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষ সহ সারা দেশের মানুষ তাদের নানান ভাবে মানবিক সহায়তা করেছে। কিন্তু এখন আর্ন্তজাতিক সংকট দেখিয়ে তারা আর ফিরতে রাজি হচ্ছে না। এর মধ্যে অনেকে কক্সবাজার সহ অনেক জেলাতে ভোটার হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে অনেকে ইতি মধ্যে সফলও হয়ে গেছে। এছাড়া পূর্বে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ইতি মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক বনে গেছে। বর্তমানে পুরাতন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে পশ্রয়ে নতুন রোহিঙ্গা পুরু কক্সবাজারকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। ইয়াবা ব্যবসা,হত্যা,গুম খুন,অপহরণ সহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। আর তাদের পূর্ন সহায়তা দিচ্ছে পুরাতন রোহিঙ্গারা। এছাড়া কয়েক লাখ পুরাতন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনে বাড়ি করে স্থায়ী হয়ে গেছে
এদিকে সম্প্রতী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অনেক রোহিঙ্গা ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে,ভিন্ন নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হওয়ার জন্য জোর তৎপরাতা চালাচ্ছে। ইতি মধ্যে চকরিয়া,কক্সবাজার পৌরসভা,মহেশখালীর কালারমারছড়া,হোয়ানক,ইসলামপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অনেক রোহিঙ্গার ভুয়া কাগজ পত্র জব্ধ করা হয়েছে। তার পরও অনেক রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ার জন্য অপতৎতায় লিপ্ত আছে। সে জন্য আমাদের দাবী (পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা করে তাদের এনআইডি বাতিল করা এবং নতুন ভোটার তালিকায় যাতে কোন ভাবেই রোহিঙ্গা ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওযার আহবান জানাচ্ছি )
পাঠকের মতামত: