ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পাহাড়ী পথ দিয়ে আসছে ইয়াবার চালান!

ফারুক আহমদ :
পাহাড়ী পথ দিয়ে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান আসছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সড়ক ও সাগর পথে কড়াকড়ি আরোপ করায় পাচারকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা কৌশল পরিবর্তন করে নতুন রোড পাহাড়ী পথ সৃষ্টি করে ইয়াবা পাচারের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। আর এসব ইয়াবার ঘাঁটি হচ্ছে উখিয়ার পাইন্যাশিয়া গ্রাম।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, থাইংখালীর পাহাড়ী পথ দিয়ে প্রতিদিন বস্তায় বস্তায় ইয়াবা উখিয়ায় আসছে। তেল খোলা গহীন অরন্য দিয়ে হরিণমারা পাহাড়ী পথ ও পিনিজিরকুলের বনাঞ্চল হয়ে ইয়াবার চালান আসে জালিয়াপালংয়ের পাইpaharন্যাশিয়া গ্রামে। সেখানে মজুদ করার পর ট্রাক, পিক-আপ, মাইক্রো, কিংবা অন্য যানবাহন দিয়ে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ইয়াবা পাচার হচ্ছে।
গত মাসে সোনার পাড়ার জয়নালের মালিকানাধীন একটি ট্রাক ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ চট্টগ্রামে আটক হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে ইয়াবা পাচারের নতুন রোডের সন্ধান মেলে।
অভিযোগে প্রকাশ, পাইন্যাশিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী লোকের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট পাহাড়ী পথ দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। প্রতিদিন পাহাড়ী পথ দিয়ে বস্তায় বস্তায় ইয়াবা এনে গড়ে তোলা হয়েছে আড়ত খানা। থানার পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হন তারা।
পাহাড়ী পথ দিয়ে এ ধরনের ইয়াবা পাচার আগে কখনো না হওয়ায় প্রশাসনও অনেকটা অন্ধকারে। কিন্তু সড়ক ও সাগর পথে আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করার কারণে নিরাপদ রোড হিসাবে পাচারকারীরা পাহাড়ী পথকে বেছে নেয়।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সোনার পাড়া, সোনাইছড়ি, তুতুরবিল, কোর্টবাজার ও পাইন্যাশিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী লোক পাহাড়ী পথে ইয়াবা ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তৎ মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা ইয়াবা পাচার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। পাহাড়ে গরু, মহিষ চড়ানোর কথা বলে মানুষের চূখে ধুলে দিয়ে মূলত কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করছে। ইতি মধ্যে রতœাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের আবুল বশর ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ক্লাশ পাড়া গ্রামের আছহাব উদ্দিন বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। তাদের এ ব্যবসা হাল ধরার জন্য নতুন করে পাহাড়ী পথ আবিষ্কার করে তারা।
সচেতন মহলের প্রশ্ন পাহাড়ে কারা গরু, মহিষ লালন পালন করে এদেরকে চিহিৃত করলে পাহাড়ী পথে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত গডফাদারদের নাম বেরিয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত: