কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেছেন, একটি শহরের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নত না হলে সে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা দুস্কর। এটি করতে গেলে ড্রেনগুলো বড় ও পরিস্কার রাখা জরুরী এবং এ দায়িত্ব শহরে বসবাসকারি সবার। এতেই পর্যটনের শহর কক্সবাজার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। কিন্তু শহরে ছড়িয়ে থাকা ড্রেন গুলো নির্লজ্জের মতো নিজেরাই দখল করেছি আমরা। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানিবন্ধি হতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও আবাসীদের। এ পরিস্থিতি চলতে দেয়া যায় না। উন্নত জীবন কামনা করলে ড্রেনকে ড্রেনের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সবার সহযোগিতায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সে কাজটি প্রথমেই সম্পন্ন করতে চায়। নিজ ইচ্ছেতে কেউ এটি করতে না চাইলে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার ভারী বর্ষণের তোড়ে প্লাবিত কক্সবাজার শহরের ইিভন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে কউক চেয়ারম্যান এসব কথা গুলো বলেছেন।
তিনি বেলা ১০ টার দিকে বেরিয়ে শহরের পৌর এলাকার নূরপাড়া, পেশকারপাড়া, বাজারঘাটা, হোটেল-মোটেল জোন, টেকপাড়া, পিটিআই স্কুল রোড়, সদর উপজেলা গেইটসহ অনেক এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়ক-উপসড়ক পরিদর্শন করেন। পানিবন্ধি মানুষের দূর্ভোগ স্বচুক্ষে পর্যবেক্ষণ করে দখল হয়ে যাওয়া নালা ও ড্রেন এলাকার বেশ কিছু অংশ অবলোকন করে ব্যাতিত হন। ডিজনাধিক মুচি দোকানসহ ধ্বসে পড়া শহরের ঐতিহ্যবাহি লালদিঘীর পশ্চিম পাড়েও যান তিনি। এসময় উপস্থিত লোকজন ক্রমে চলে আসা দুর্ভোগ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
পরিদর্শন কালে তার সাথে যোগদেন কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। দূর্ভোগ লাঘবে করনীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পৌর মেয়রের সাথে কথা বলেন তিনি। পরিকল্পিত পর্যটন শহর গড়তে ক্ষেত বিশেষে কঠোর হতেও পিছপা হবেন না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কউক চেয়ারম্যান।
পাঠকের মতামত: