চীনের ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক ::
১ অক্টোবর কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চীন। এ উপলক্ষ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় সামরিক কুচকাওয়াজ ও নিজেদের তৈরি বিপুল সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী করতে যাচ্ছে দেশটি।
এবারের প্যারেডের প্রদর্শনীতে থাকবে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি আর সমৃদ্ধ অস্ত্রাগার থেকে একেবারেই নতুন নতুন কিছু অস্ত্র। বিশ্বকে চমকে দেবে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সামনে আনা হবে অবিশ্বাস্য গতির পরমাণু বোমাবাহী নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ডংফেং বা ডিএফ–৪১ নামে ধ্বংসাত্মক মারণাস্ত্রটির তৈরি করা হয়েছে বিমানবাহী রণতরী ও শত্রুপক্ষের সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য। মাত্র ৩০ মিনিটে যা লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হেনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তিরও প্রতিরক্ষা লাইন ধসিয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যখন রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক টানাপড়েন চরমে তখন এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করতে যাচ্ছে বেইজিং। চীনা গনমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ডংফেং-৪১ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হবে।
প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেই নতুন নতুন অস্ত্র প্রদর্শন করে আসছে চীন। পরমাণু বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের মধ্যে ২০১৫ সালে ‘ক্যারিয়ার কিলার’ খ্যাত স্বল্পপাল্লার ডংফেং-২১ডি বা ডিএফ-২১ডি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় বেইজিং। এরপর একাধারে মাঝারি পাল্লার ডংফেং ২৬ ও দূর পাল্লার অর্থাৎ ডংফেং-৩১ প্রদর্শন করে। এর সর্বোচ্চ পাল্লার ১১ হাজার ২০০ কিলোমিটার যা আমেরিকা মহাদেশের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে।
এবারের প্যারেডের সবচেয়ে বড় চমক হবে এ সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ডিএফ-৪১। ক্ষেপণাস্ত্রটি একসঙ্গে কয়েকটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এবং বিশ্বের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। সামরিক শক্তিকে ওয়াশিংটন ও বিশ্বের অন্যান্য শক্তির সমকক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে এসব অস্ত্রকে বেইজিংয়ের বড় অর্জন হিসেবে দেখছে অস্ত্র বিশ্লেষকরা।
পাঠকের মতামত: