ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

‘ধানের শীষে’র যে বীজ মানুষের অন্তরে সেই বীজ হামলা-মামলায় মুছে ফেলা যাবে না -এড. হাসিনা আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

তিনি যখন মাঠে নামছেন ওখানেই মানুষ। তিনি যখন রাস্তায় হাঁটছেন তখনও শত শত মানুষের মিছিল। তিনি যখন নারীর সাথে কথা বলছেন তখনও তাঁকে ঘিরে ঘরের মা-বোনদের উচ্ছ্বাস। আর এই উচ্ছ্বাস ও মানুষের ভালোবাসায় তিনি মানুষের হৃদয়ে ‘ধানের শীষে’র বীজ বপন করে চলেছেন। চকরিয়া-পেকুয়াজুড়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের এই যখন অবস্থা তখন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলাকেই নির্বাচনী প্রচারণায় পরিণত করেছেন।

হাসিনা আহমদ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মী ও ধানের শীষের কর্মীদের উপর হামলা করে ‘ধানের শীষে’র বিজয় ছিনিয়ে নেয়া যাবে না। তিনি বলেন, ধানের শীষ তো মানুষের হৃদয়ের মার্কা। যে মার্কা মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে সেই মার্কা হামলা করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে মুছে ফেলা যাবে না।

নির্বাচনী প্রচার চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) গণসংযোগকালে এসব মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিনী এডভোকেট হাসিনা আহমদ।

তিনি চকরিয়া পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসিদের হাতে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ ৫ নেতা-কর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি হামলাকারিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

তিনি বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বুড়ির দোকান হয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে তিনি একে একে রাসুলাবাদ, শান্তিবাজার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ঢলন্যার ঘাট সংলগ্ন বাজারে খোজাখালী ভোলা পুকুর পাড়, কাছিমারকাটা, চোয়ালিয়া পাড়া, কৈয়ারবিল হাইস্কুল সংলগ্ন স্টেশন, চড়ারকুল এলাকায় গণসংযোগ করেন।

ধানের শীষের প্রার্থী হাসিনা আহমদ বলেন, কোন ষড়যন্ত্র, পুলিশী হয়রানি ধানের শীষের গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না। গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে অন্ধকার কারাগার থেকে মুক্ত করতে ও আপনাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

তার মতে, দীর্ঘ দশ বছরের উন্নয়নবঞ্চিত চকরিয়া-পেকুয়াকে আবারও উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে নিতে হলে ধানের শীষে ভোট দিয়ে  ও কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল হাতে নিয়ে কেন্দ্র ছাড়তে হবে।

হাসিনা আহমদ গণসংযোগকালে ঢলইন্যার বাজার এলাকায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বরইতলি ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্রদের নিয়ে খতিবে আজম আল্লামা সিদ্দিক আহমদের (রহ.) কবর জিয়ারত করে ব্রীজ চত্বরে পথসভায় মিলিত হন। পরে তিনি কৈয়ারবিল হাই স্কুল ষ্টেশন পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এই সময়ে তিনি শান্তি বাজার, চড়ার কুলসহ ৪টি নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন।

গণসংযোগ ও পথসভায় এডভোকেট হাসিনা আহমদ ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম বাবুল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক আলী, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক সালেহা বেগম, যুগ্ন আহবায়ক হাসনা খোনম, পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদা বেগম প্রমুখ।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জালাল আহমদ, শফিক মেম্বার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফুল, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একে এম জিল্লুর রহমান, সি. সহ-সভাপতি এএম ওমর আলী, সহ-সভাপতি সেলিম নেওয়াজ চৌধুরী, শেখাব উদ্দিন, যুবদলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইসকান্দার মির্জা, মো. মানিক, ওমর আলী, শ্রমিকদলের আহবায়ক শাহাদত হোসেন, খায়রুল ইসলাম মাকিক প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: