মুহিববুল্লাহ মুহিব, কক্সবাজার ::
জৌলুস নেই, নেই প্রমত্তা ঢেউ। দখল আর দূষনের ফলে হয়েছে সরু থেকে সরুতর। পর্যটন জেলা কক্সবাজারের অর্থনীতির প্রাণ-প্রবাহ নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী আজ অস্থিত্ব সঙ্কটে। তবে সম্প্রতি সরকার এই নদী রক্ষায় উদ্যোগ নিলেও বেশিরভাগ জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় কচ্ছপ গতিতে চলছে ড্রেজিং প্রকল্প। তাই দ্রুত নদীটি দখলমুক্ত করার দাবী পরিবেশবাদীদের।
জানাযায়, এক সময় বড় বড় জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামার একমাত্র ঘাট ছিল এই বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট পয়েন্ট। যেখানে হাজারো শ্রমিক এসব কাজ করতেন। ষাটের দশকের দিকে জাহাজে করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাত্রী পরিবহনের একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই নদী। অসংখ্য বাঁকে ভরা বলেই নদীটির নাম হয়েছিলো বাঁকখালী। তবে রাখাইন ইতিহাস বলছে, বাগোলী নামে এক বর্মি সেনা প্রধানের নাম থেকেই উৎপত্তি এই বাঁকখালী শব্দটির।
নদীটি কক্সবাজার শহর লাগোয়া হওয়ায় দু’পাশের বেশিরভাগ চরাঞ্চল দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা। এদের মধ্যে বসতবাড়ি বানিয়ে শীর্ষ দখলবাজের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, ব্যবসায়ী মৌলভী ছালেহ আহমদ। এছাড়া জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর কাশেমের আল্লাহওয়ালা হ্যাচারী ও নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর সাইনবোর্ড সম্বলিত প্যারাবন দখলসহ অসংখ্য রথি-মহারথির নাম আছে জেলা প্রশাসনের ৪শ’ জনের তালিকায়।
শহরের ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট হচ্ছে নদীর উপরিভাগ। বছরের পর বছর বন্ধ হয়ে আছে স্লুইস গেইট। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে পর্যটন শহর।
অন্যদিকে এসব দখলদাররা প্রকাশ্যে তাদের দখল কাজ চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। এনিয়ে এ ঐতিহ্যবাহী নদীটির অস্থিত্ব নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। নদীর চারপাশ দ্রুত দখলমুক্ত করা না হলে ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে খালে পরিণত হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, এখনি যদি প্রদক্ষেপ নেয়া না হয় তাহলে বাঁকখালী নদী আর থাকবে না। প্রতিনিয়িত দখলদারা নিজেদের দখলে নিতে শুরু করেছে। এসব প্রভাবশালীর কাছে প্রশাসনও অসহায় বলে আমাদের ধারণা। না হলে তাদের উচ্ছেদ করতে পারছে না কেন।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল বলেন, এক দিকে উচ্ছেদ করে আসলে অন্যদিকে দখল করে বসে তারা। এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে কোনকিছুই সম্ভব নয়।
পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, দখলদারদের একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নিলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। কোনভাবে বাঁকখালী নদী দখল করতে দেয়া হবে না। শহরের ময়লা আবর্জনার জন্য ডাম্পিং স্টেশন করা হচ্ছে। এটি চালু হলেই ময়লা ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে য্ওায়া হবে।
উল্লেখ্য যে, জেলার ৫টি প্রধান নদীর মধ্যে অর্থনীতির প্রাণ-প্রবাহ বলে খ্যাত এই নদীটি মিশে গেছে সাগরে। যার উৎপত্তি স্থল প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার।
প্রকাশ:
২০১৮-১০-২৪ ১০:৫০:০০
আপডেট:২০১৮-১০-২৪ ১০:৫০:০০
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
পাঠকের মতামত: