ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

তীব্র শীতের প্রভাবে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর উপকূল মাছশূন্য!

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

তীব্র শীতের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর থেকে হাওয়া হয়ে গেছে মাছের দল। কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটে গত চারদিনে মাছ বোঝাই একটি ট্রলারও আসেনি। জেলার অন্যান্য অবতরণ কেন্দ্র বা ঘাটেও একই অবস্থা। ফলে বাজারে এখন সামুদ্রিক তাজা মাছের তীব্র সংকট।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় প্রায় ৭ হাজার এবং সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যার মধ্যে বিহিন্দি জালের বোট সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এবং ইলিশ জালের বোট গভীর সাগরে মাছ ধরে। বিহিন্দি জালের বোটে ৫/৭ জন এবং ইলিশ জালের বোটে ১৬ থেকে ২২ জন করে জেলে থাকে। কক্সবাজারের উপকূলবর্তী সমুদ্রে মাছ ধরে বিহিন্দি জালের ট্রলারগুলো দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসে। মূলত এসব ট্রলার সাগর থেকে এক প্রকার চিংড়ি ধরে। যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘করত্যা ইছা’ বলা হয়। সেসাথে এই ট্রলারের জালে আরো ধরা পড়ে রূপচান্দা, ছুরি, ফাইস্যা, মাইট্টা, গরুমাছ, লইট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ। তবে এসব ট্রলারেও ছোট ছোট ইলিশ ধরা পড়ে। আবার এক সপ্তাহ বা পক্ষকালের রসদ নিয়ে গভীর সাগরে যাওয়া ট্রলারগুলো ইলিশসহ অন্যান্য বড় প্রজাতির মাছগুলো ধরে থাকে। যা বাজারে দামে বিক্রি হয়। কিন্তু গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সাগরে কোন মাছেরই দেখা মিলছে না।

কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটে গত চারদিনে মাছ বোঝাই একটি ট্রলারও আসেনি বলে জানান ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক গিটারিস্ট জুলফিকার আলী।

তিনি বলেন, মাছের অভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন প্রায় জনশূণ্য।

জেলেরা জানান– সারাদেশে তীব্র শীত পড়ছে। সাগরেও শীতের পাশাপাশি এখন তীব্র কুয়াশা। আর শীত বাড়ার সাথে সাথে সমুদ্র উপকূল থেকে মাছের দলও উধাও হয়ে গেছে। ফলে বেশির ভাগ ট্রলারই এখন ঘাটে নোঙর করা। এসব ট্রলারের জেলেরা মাছধরা পেশা ছেড়ে রিক্সা চালনাসহ ভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, প্রতি বছর পৌষ ও মাঘ মাসে যখন তীব্র শীত পড়ে, তখন সাগরে আর মাছের দেখা মিলে না।

পাঠকের মতামত: