কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তার ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)
সিআইডির প্রতিবেদন মতে, ডিএনএ পরীক্ষায় তনুর কাপড়ে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তার মরদেহে মোট ৪ জনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি তনুর নিজের রক্তের। অন্য তিনটি তিন পুরুষের।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, তনুর কাপড়, অন্তর্বাস, ভেজাইন্যাল সোয়াব, শরীরের অংশবিশেষ ও রক্তের ডিএনএতে ৩ ব্যক্তির স্পার্ম পাওয়া যায়। অন্তর্বাসে যে রক্ত মিলেছে তা-ও তনুর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকায় সিআইডির পরীক্ষাগারে ডিএনএ পরীক্ষার পর এই আলামত মিলেছে। সোমবার (১৬ মে) রাতে বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছি, তনু ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। বেশ কিছু তথ্য, উপাত্ত, মুঠোফোনের এসএমএস ও জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে আমরা আসামি শনাক্ত করতে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।
নাজমুল করিম খান আরও বলেন, ধর্ষণের আলামত নিশ্চিত হতে আমরা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। ভেজাইনাল সোয়াব (ফ্লুইড) নমুনা হিসেবে আমাদের পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য তাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলাম। তারা আমাদের জানান, পরীক্ষায় তারা আলামত পাননি। তাই নমুনা সংরক্ষণ করা হয়নি। এরপর আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে তনুর মরদেহে থাকা কাপড়-চোপড় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠাই।
তিনি জানান, এ ডিএনএ প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন যত দ্রুত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে, ততই এ মামলার অগ্রগতি দেশবাসীকে দেখানো যাবে বলে আশা করছে সিআইডি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে শিগগিরই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি ঝোপে সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে পুলিশ, তারপর ডিবি তদন্ত করে। সর্বশেষ এখন সিআইডি তদন্ত করছে।
গত ২৮ মার্চ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য তনুর মরদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করে ডিবির জেলা শাখা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ৪ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- চকরিয়ার মালুমঘাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধ নিহত
- প্রশাসনকে সকল দলের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করতে হবে
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী শিকার করতে গিয়ে বন্দুক রেখে পালালো ২ জন
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
পাঠকের মতামত: