ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ডুলাহাজারা-বিএমচরে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও গ্রামীণ সড়ক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেরামত দাবি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  লাগাতার ভারীবর্ষণ আর মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানির প্রবল চাপে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ একাধিক সড়ক। এ অবস্থায় এসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেড়ে চলছে।

বন্যা পরবর্তীতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ, গ্রামীণ সড়ক পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি শনিবার ২০ জুন উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে কন্যান্নারকুম নামক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম, পরিষদের মেম্বার এবং এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

একইদিন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে বন্যা পরবর্তী গ্রামীণ জনপদের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট এবং বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। ওইসময় ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নুরুল আলম ছাড়াও এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, কয়েকদিনের লাগাতার ভারীবর্ষণ আর মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানির প্রবল চাপে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ একাধিক সড়ক। এ অবস্থায় এসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেড়ে চলছে।

তিনি বলেন, শনিবার বন্যা কবলিত চকরিয়া উপজেলার উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের কন্যান্নারকুম নামক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করি। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধটি দ্রুত মেরামত জরুরি, না হয় বিশাল এলাকা তলিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেই তারা দ্রুত সময়ে মেরামত করবে বলে জানিয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে অতি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে পাগলিরবিল ছড়াখালের বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬ নং ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করি এবং অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। একইসময়ে রিংভং দরগাহ গেইট রাস্তা সংস্কারকাজ পরিদর্শন করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করি এবং টেকসই রাস্তার জন্য ওয়ার্ডের এমইউপির মাধ্যমে আবেদন করতে বলি।##

পাঠকের মতামত: