ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফের চাঞ্চল্যকর আলো হত্যা মামলার আসামী দিদার কারাগারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের টেকনাফের চাঞ্চল্যকর আলী উল্লাহ (আলো) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী দিদারুল আলম (দিদার মিয়া) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ। আসামী দিদার মিয়া টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে। সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামী ও চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাপাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লার শিশু পুত্র বর্ডার গার্ড স্কুলের ছাত্র আলী উল্লাহ আলোকে (৭) নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় পিতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলা নং জিআর-৩৭০/২০১১।
পরে ওই মামলায় সিআইডির তদন্তে দিদারুল আলম দিদার প্রকাশ দিদার মিয়া ও মুহিবুল্লাহ নামে আরও দুই জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে দিদার টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে। মুহিবুল্লাহ শাহপরীরদ্বীপের মাঝেরপাড়ার মাওলানা আবদুল জলিলের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিন উদ্দিন বলেন, মুহিবুল্লাহ পলাতক থাকলেও দিদারুল আলম দিদার জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতে আত্নসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, আলোচিত এই মামলায় এখনও দুইজন আসামি সুমন ও নজরুল ইসলাম জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ মামলার বাকী আসামীরা হলো- ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান, ইয়াকুব, মোহাম্মদ ইছহাক প্রকাশ কালু।

মামলার বাদী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, উপজেলার চেয়ারম্যানের ছেলেসহ তারা আমার শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করেছিল। অবশেষে ওই মামলার আসামি ও স্বরাষ্টমন্ত্রালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন দিদার মিয়াকে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে আমার শিশু সন্তান হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমাকে ও ভগ্মিপতিকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও শিশু আলো হত্যা মামলার আসামী দিদার মিয়াকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর খবরে দিনভর সীমান্ত জুড়ে নানান আলোচনার ঝড় উঠে। সীমান্তের ওই ইয়াবা কারবারি দিদার মিয়া ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে খুব কম সময়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। তার বিপুল অর্থ সম্পদ এবং বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি চোখে পড়ার মতো।

পাঠকের মতামত: