টেকনাফ সংবাদদাতা :: টেকনাফের নয়াপাড়া কাটাবনিয়া ঝাউ বাগানে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২জন নিহত হয়েছে৷ তারা মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার ভোরের এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
নিহতরা হচ্ছে- টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ হাসেমের পুত্র মোঃ হোসেন প্রকাশ হাসান আলী (৩৮) টেকনাফ সদর ইউনিয়ন নাজিরপাড়া এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মোঃ কামাল (২৮)।
আহত ৩ পুলিশ সদস্য হলেন- এস আই রাজু আহমদ গাজী, এএসআই মিঠুন কুমার ভৌমিক ও কনস্টেবল ইব্রাহিম খলিল। তাদের টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী ৬টি অস্ত্র, ২৫ রাউন্ড গুলি ও দশ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
তিনি জানান, মোঃ হাসান আলী ও মোঃ কামাল চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাদক বেচাকেনার খবর অভিযানে গেলে তারা পুলিশের উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই মাদক কারবারির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, টেকনাফের ওই এলাকায় দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৬টি দেশীয় এলজি, ২৫ রাউন্ড গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নিহতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মোঃ হোসেনকে গত ২২ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টায় স্থানীয় জনৈক জিয়াউর রহমানের বাড়ীর পাশ থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল তার পরিবার। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদও প্রকাশ করে।
যদিওবা টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওই সময়ই অস্বীকার করে।
পাঠকের মতামত: