ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ : ফিরে যাচ্ছে পর্যটক

kearyআবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ :::

টেকনাফ সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় শত শত পর্যটকদের টেকনাফে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। গেল পবিত্র কোরবানের পর অধির আগ্রহ নিয়ে শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটক সেন্টমাটিন যাওয়ার জন্য টেকনাফে আসে। অথচ টেকনাফে এসে সেন্টমাটিনগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে পর্যটকদের। এদিকে সেন্টমাটিনের হোটেল-মোটেল মালিকগন কোরবানের পর প্রতি বছরের ন্যায় পর্যটক আগমন ঘটবে এই প্রত্যাশায় তাদের হোটেল-মোটেল গুলোতে অপুর্ব সাজিয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের কোন দেখাই মিলছে না। অপরদিকে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে সেন্টমাটিনে পর্যটকদের আগমন ঘটবে এই আশা নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমাটিন গামী পর্যটক বাহী জাহাজ গুলোকে ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করে রেখেছিল জাহাজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় তাদের আশা গুড়েবালিতে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো: শাহ আলম জানান, আমরা চলতি মৌসুমের পবিত্র কোরবানের পর হতে সেন্টমাটিনে পর্যটক নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। জাহাজ চলাচলের বিষয়ে অনুমতির জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছি। কিন্তু এই রির্পোট লিখা পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি। ফলে অধির আগ্রহ নিয়ে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকগন টেকনাফে এসে সেন্টমাটিনে যেতে না ফেরে হতাশ মন নিয়ে ফিরে যাচ্ছে ।
এদিকে টেকনাফের বিভিন্ন অলিতে গলিতে দেখা যাচ্ছে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের গাড়িবহর ও পর্যটকগন। তাদের মুখে একটি মাত্র উচ্চারন অধির আগ্রহ নিয়ে সেন্টমাটিনে যাওয়ার জন্য টেকনাফে এসেছিলাম কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় যেতে পারলাম না। কবে নাগাদ যেতে পারব তা বলতে পারছিনা। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মনির, রানা, সুজন ও এ্যানি, সুইটি জানান, আমরা দীর্ঘ এক বছর আগে হতে পরিকল্পনা নিয়ে থাকি কোন স্থানে ভ্রমনে যাব। চলতি বছরের পরিকল্পনা ছিল সেন্টমাটিন ভ্রমনে যাব এবং saint martinআনন্দ করব। কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা স্বপ্ননের দ্বীপ সেন্টমাটিনে যেতে পারলাম না। যেহেতু আমাদের পাশ্বের সেন্টমাটিনে ভ্রমনে আসা বন্ধু বান্ধব বলেছিল এই সময়ে এই মৌসুমে সেন্টমাটিনে যাওয়া যায়। যেহেতু এই মৌসুমে দ্বীপের মধ্যে পর্যটকদের সংখ্যা কম থাকে। ফলে আনন্দ করতে, চলাফেরা করতে ও খাওয়া এবং থাকতে কোন সমস্যা হয় না। এদিকে চলতি মৌসুমে সেন্টমাটিনে পর্যটক আগমন বন্ধ থাকায় দ্বীপের হোটেল-মোটেল ও পর্যটকদের নিয়ে আয় উপারর্জনের লোকজনেরা পড়েছে বিপাকে। কেন না সেন্টমাটিন দ্বীপের পর্যটকদের ব্যবসা শুধু মাত্র তিন মাসের বাকি ৯ মাস বসে থাকতে হয়।

এ বিষয়ে হোটেল-মোটেল মালিক সমিটির সদস্য আবদুল হক মেম্বার জানান, আমরা প্রতি বছর এই মৌসুমের জন্য বসে থাকি। কিন্তু চলতি মৌসুমে জাহাজ চলাচল না করায় আমাদের লোকসান আরো দীর্ঘায়ুত হচ্ছে।

এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে জেলা প্রশাসককের। আমি জেলা থেকে অনুমতি পেলেই জাহাজ মালিকদেরকে ডেকে জানিয়ে দেব।

 

পাঠকের মতামত: