ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা/২০২২

জেলায় ১৫ কেন্দ্রে ৮৬১৪ জন প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ ৩০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টার এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৪ টি বিষয় বাংলা, গনিত, ইংরেজী এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান নিয়ে ১০০ নম্বরের এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জেলায় ১৫ কেন্দ্রে ৮৬১৪ জন পরীক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু করার জন্য সকল প্রস্তুতি আগেভাগেই সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জেছের আলী জানিয়েছেন- বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃত্তি পরীক্ষার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৯০ জন দক্ষ পরীক্ষক, ২০ জন প্রধান পরীক্ষক। স্ব স্ব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ দক্ষ ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের পরীক্ষক হিসাবে তালিকা প্রেরণের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাছাই করে তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে জেলা সদরে। ৩১ ডিসেম্বর, ১ ও ২ জানুয়ারি সব খাতা মূল্যায়ন করা হবে। ১ জন পরীক্ষক ১০০ কপি করে খাতা দেখবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় কেন্দ্রভিত্তিক প্রশ্নপত্র ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রশ্নের উপর উত্তর লিখতে হবে। ধরন হবে বুক লেট সিস্টেম। ১০০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য ২ ঘন্টা সময় বরাদ্দ রয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলবে বৃত্তি পরীক্ষা।

কেন্দ্র ভিত্তিক বৃত্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হল কক্সবাজার সদরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি ও ঈদগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬৭৯ জন। রামু উপজেলায় রামু খিজারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৬৮ জন। চকরিয়া উপজেলার চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫৫০ জন। পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি বিদ্যালয়ে ৭২১ জন। কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুতুবদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৯৯ জন। মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী মডেল হাই স্কুল এবং কালারমার ছাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১১০ জন।
উখিয়া উপজেলার উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালিয়া পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রত্না পালান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র মিলে ৯৭৮ জন। টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৭৭ জন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতকরা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে গ্রহন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জেছের আলী।

পাঠকের মতামত: