ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জেলায় আজ হস্তান্তর হবে ৩৮৫ দলিলসহ ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকলোপর সফল বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে আজ ২১ জুলাই সারা দেশে ২,৩৫,৪২২ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ করে জমি ও ঘর প্রদান করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারে তৃতীয় দফায় আজ ৩৮৫ পরিবারকে দেয়া হবে দলিল ও ঘর। সারাদেশের সাথে কক্সবাজারে ও র্ভাচুয়ালি সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার সদর উপজেলার অনুষ্ঠান হবে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আমিন আল পারভেজ। ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা করা হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ র্ভাচুয়ালি সংযুক্তের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন জেলার রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
এদিকে জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ১৪২৫ টি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা এবং সেই ঘোষণার বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আমিন আল পারভেজ বলেন-ইতোমধ্যে ৩৮৫টি বাড়ি ও তাদের দলিল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত বাড়ি পরির্দশন করে কাজের সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন কাজের মান ভালো হয়েছে। ৩৮৫টি বাড়ি দেয়ার পর আরো ১৮৮৪টি বাড়ি প্রস্তুতের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রয়োজনে জমি কিনে হলেও যারা তালিকায় রয়েছে এখনো পায়নি তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া কক্সবাজার জেলাকে আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার জন্য জেলা প্রশাসন কাজ চালিয়ে যাবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে আজ এ বাড়ি প্রদান করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আমিন আল পারভেজ জানান, ২মাস আগে থেকে বাড়ি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। ৮ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাড়ি নির্মান কাজের অগ্রগতি দেখতে উক্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে সদর, টেকনাফ, উখিয়া, রামুসহ সব উপজেলায় র্নিমানাধীন বাড়ি গুলো পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত অগ্রাধিকার প্রকল্প যেহেতু অসহায়দের সহায় হবে বাড়িসমুহ। প্রতিটি বাড়ির জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে ৩৮৫টি বাড়ি নির্মান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখাসুত্রে জানা যায়, প্রতিটি বাড়ির নির্মানে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা । আজ বৃহস্পতিবার বরাদ্দ দেয়া উপজেলা ভিত্তিক বাড়ির সংখ্যা হলো কক্সবাজার সদরে ১১৭টি। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ১০০ শতাংশ। চকরিয়ায় নির্মিত হয়েছে ৪০টি বাড়ি। পেকুয়ায় ৩১ টি বাড়ি। রামুতে ১৩০টি বাড়ি। মহেশখালীতে ৫টি । উখিয়ায় ৪৩টি। টেকনাফে ১৪টি। কুতুবদিয়ায় ৫টি ।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি ২ শতাংশ পরিমান জমির মালিক, জমি পাওয়া সাপেক্ষে হিজড়া, বেদে, বাউল ,আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, গৃহহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে গৃহহীন, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, প্রতিবন্ধী এবং পরিবারে উপার্জনক্ষম লোক নেই এমন লোককে উক্ত বাড়ি দেওয়া হচ্ছে যা তালিকায় প্রতীয়মান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে অনেক অসহায় পরিবার মাথাগুজার ঠাঁই পাবে।

পাঠকের মতামত: