ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

জালালাবাদে দুইশ একর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে না : কৃষকের চোখে জল

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর ::   কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে এবার দুইশ একর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে না। কারণ,রেল লাইন প্রকল্পের রাস্তা নির্মান ও রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা।এ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক ও জমির মালিকরা।
জানা যায়, ঘুমধুম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত চলমান রেল লাইন প্রকল্পে কাজের রাস্তা নির্মান হওয়ার ফলে নাসী বন্ধ না থাকায় চাষাবাদের জন্য পানি ব্যবহার করতে পারছেন না চাষিরা।
জালালাবাদের পুর্ব ফরাজী পাড়ার কৃষক আবদু ছমদ,দুলা মিয়া চাষি নুরুল আলম বলেন ‘এবারে পানি নিষ্কাশন কারণে চাষ করতে না পেরে খুব ক্ষতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে বোরো চাষ আর করতে পারব না।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে সদর উপজেলায় বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার হেক্টর। রেল লাইনের রাস্তা নির্মান হওয়ার কারণে হাজার হেক্টর মত জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে না। এর মধ্যে ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ,ইসলামপুর ইউনিয়নের সেচযন্ত্র দিয়ে বোরোর সেচ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা। একটি পাম্প দিয়ে অন্তত ১৫০ কানি জমিতে চাষাবাদ হয়। কিন্তু চাষ বন্ধ থাকায় সেচযন্ত্রের মালিকেরাও বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে জালালাবাদ ধমকা বিল পরিদর্শন করে দেখা যায়, এখনো অনাবাদী থেকে গেছে প্রায় ২শ একর মত জমি।
ঈদগাঁও রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে জালালাবাদ ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি বন্টন করে থাকে।কিন্তু এবারে নাসী খনন করতে না পারায় বন্টন করা সম্ভব হয়নি। যদিওবা একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কৃষি কর্মকর্তার বলছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন নির্দেশও দিতে পারছে না।ফলে এবারে চাষ অনিশ্চিত। তারপরও বিকল্প কোন উপায়ে হলেও চাষাবাদের আওতায় আনা যায় কি না দেখা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিমান্সু দাশ সিবিএনকে বলেন,এবারে একটু ব্যতিক্রম হওয়ায় আমরা একটু ভাবনায় পড়েছি। হয়তো এ কারণে এবার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে অন্তত ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে না। ইতিমধ্যে সরেজমিনে প্রকৌশলী সহ গিয়ে মেপে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। মেগা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি কৃষকদের স্বার্থটাও বিবেচনা করার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন।জালালাবাদসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে তাদের চোখে মুখে হতাশা ও ক্ষোভ। যুগ যুগ ধরে করে আসা বোরা চাষ এবারে করতে না পারায় ব্যাপক খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন বলে আশংকা করছে তারা।

পাঠকের মতামত: